প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেয়ে আনন্দ অনুভব করছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) নিজের টুইটার হ্যান্ডলে এ কথা জানান তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এস জয়শঙ্কর। তাদের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পানি ইস্যু ও এ ব্যাপারে কীভাবে আরও অগ্রগতি আনা যায় তা নিয়ে দুজনের আলোচনা হয়।
মিয়ানমারের রাখাইনে সাম্প্রতিককালে যে অস্থিরতা চলছে তা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত পোষণ করে। এ অঞ্চলে অস্থিরতা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট ঘিরে সমগ্র বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে সেটা নিয়েও আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে পারস্পারিক সহযোগিতা কীভাবে আরও বাড়ানো যায় সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর ড. এস জয়শঙ্কর টুইটারে লেখেন- ‘আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমাদের নেতৃত্ব স্তরের যোগাযোগের উষ্ণতা ও পুনরাবৃত্তি আমাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী অংশীদারিত্বের একটি সাক্ষ্য। ’
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি দিল্লি পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে ভারতের রেল ও টেক্সটাইল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোস ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরান তাকে স্বাগত জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সকাল ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাবে। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে দুই দেশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: