অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্তিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনার। গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তি তাঁকে গুলি করার চেষ্টা করেন। শেষ মুহূর্তে পিস্তল ঠিকমতো কাজ না করায় পিস্তল থেকে গুলি বের হয়নি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
এই হামলার মধ্য দিয়ে আর্জেন্টিনার ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক টানাপোড়েন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কলম্বিয়া থেকে ব্রাজিল—পুরো লাতিন অঞ্চলটিতে রাজনীতিবিদরা যে ঝুঁকিতে রয়েছেন, এ ঘটনা সেটাই তুলে ধরেছে।
প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি তাঁর (ক্রিস্তিনা কির্চনার) মাথায় বন্দুক তাক করে ট্রিগারে টান দেন। ক্রিস্তিনা এখনো বেঁচে আছেন; কোনো কারণে বন্দুক থেকে গুলি বের হয়নি। কেন বন্দুক কাজ করেনি, সে কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
প্রেসিডেন্ট বলেন, বন্দুকটিতে পাঁচটি গুলি ছিল। তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনা গণতন্ত্রে ফেরার পর এটা হলো সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি।’
দুর্নীতির অভিযোগে ক্রিস্তিনা কির্চনারের বিচার চলছে। কয়েক শ সমর্থক যখন তাঁর বুয়েনস এইরেসের বাসার বাইরে জড়ো হন, তখন এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্রিস্তিনা যখন সমর্থকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছিলেন, তখন তাঁর মাথার মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূর থেকে এক ব্যক্তি পিস্তল তাক করে ধরেছিলেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলাকারী ৩৫ বছর বয়সী একজন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত। তাৎক্ষণিক তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে।
ক্রিস্তিনা কির্চনার ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল নাগাদ দুই মেয়াদে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
জানা যায়, চলমান মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ২০০০ সালের শুরুর দিকে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজ এলাকায় সরকারি প্রকল্প নেওয়ায় তাঁকে নির্বাচনে অযোগ্যও ঘোষণা করা হতে পারে।
বর্তমানে সিনেটের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আছেন ক্রিস্তিনা কির্চনার। সিনেটে প্রতিদ্বন্দিতার পাশাপাশি আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদেও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: