চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ এই সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীতে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তবে ঠিক কখন এবং পৃথিবীর কোন অংশে রকেটটির ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়বে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, রকেটটি মে মাসের ১০ তারিখে অথবা এর দুই দিন আগে বা পরে পৃথিবীতে এসে পড়তে পারে।
ধ্বংসাবশেষটি জনাকীর্ণ এলাকায় পড়বে না বলে আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অস্টিন। তার বক্তব্য, ‘আমরা আশা করছি এটি এমন এক জায়গায় পড়বে, যেখানে মানুষ থাকবে না। কারো ক্ষতি হবে না। মহাসাগর কিংবা এমন কোনো স্থান হতে পারে।’
রকেটের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি ইঙ্গিতে চীনের সমালোচনাও করেছেন, ‘যে বিষয় আমরা পরিচালনা করতে পারব না, সেটি সম্পর্কে আগে থেকেই সবার সতর্ক হওয়া উচিত।’
চীনের স্থানীয় গণমাধ্যম কয়েক সপ্তাহ ধরে বলে আসছে, ধ্বংসাবশেষটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় পড়বে।
চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষতি কমাতে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
২৯ এপ্রিল চীনের নতুন স্পেস স্টেশনটির একটি মডিউল কক্ষপথে বহন করতে এই রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
মহাকাশে এই রকেটের দেহটি এখন পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে এবং এটি বায়ুমণ্ডলের নিম্ন স্তরে অবস্থান করছে। যার মানে হল, এটি পৃথিবীর চারদিকে বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে নিচের দিকে নেমে আসছে। তাই এটি কোথায় পড়বে সেটা অনিশ্চিত।
আর্থ অবজারভেটরি সিঙ্গাপুরের জেসন স্কট হেরিন বিবিসিকে বলেছেন, ‘মাধ্যাকর্ষণ টানের ফলে এই ধ্বংসাবশেষ নিচের দিকে আরও ঘন বায়ুমণ্ডলের দিকে নামতে থাকবে, এর ফলে মাধ্যাকর্ষণ টান এবং নিচের দিকে নেমে আসার গতিবেগ আরও বাড়তে থাকবে।’
‘একবার এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে, বস্তুটি একটি একটি নির্দিষ্ট দিকে নিচের দিকে ধেয়ে আসতে থাকবে।’
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুমণ্ডল ক্রমেই ঘন হতে থাকায় রকেটের ধ্বংসাবশেষের বেশির ভাগ আগুনে পুড়ে যাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: