ভারতের মতো নেপালেও করোনা প্রকোপের শঙ্কা

সময় ট্রিবিউন | ৭ মে ২০২১, ০১:৩৮

ছবি: ইন্টারনেট

গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় ভারত সীমান্ত লাগোয়া দেশ নেপালে গড়ে দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২০০ শতাংশ বেড়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই হিসাব তুলে ধরেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

এখন দেশটিতে প্রতিদিন প্রতি লাখে ২০ জন করে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। সেখানকার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্য অনুসারে, দেশটিতে গত সাপ্তাহিক ছুটিতে মোট টেস্টের ৪৪ শতাংশই পজিটিভ এসেছে। বৃহস্পতিবার (৬ মে) এখবর দিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালের রেডক্রস চেয়ারপারসন ডা. নেত্র প্রসাদ টিমসিনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারতে এখন যা হচ্ছে তা নেপালের ভবিষ্যতের প্রিভিউ হবে যদি আমরা বর্তমান করোনা ঢেউ সংযত করতে না পারি।

নেপালের স্বাস্থ্যখাত বেশ ভঙ্গুর। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. সামির অধিকারী সোমবার বলেছিলেন, পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

যদিও নেপাল তার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিতে লকডাউন দিয়ে রেখেছে। কিছু মানুষ আশঙ্কা করেছেন যে এটি রাজধানী জুড়ে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। পর্যাপ্ত সরকারি পদক্ষেপের অভাবে নেপালের লোকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

নেপাল ভারতের প্রতিবেশী দেশ। মহামারি করোনার দ্বিতীয় দফার প্রকোপে গোটা ভারতের অবস্থা এখন বিপর্যস্ত। ভারতে এপ্রিলের শেষদিকে দৈনিক গড়ে প্রতি দশ লাখের মধ্যে নেপালের মতোই দুই শতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী গত ২২ এপ্রিল ভারতেও গড়ে প্রতি দশ লাখ মানুষের ২০৬ জনের দেহে মহামারি করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। মাথাপিছু আক্রান্তের হারে দু’সপ্তাহে আগে ভারতে অবস্থা যেমনটা ছিল এখন নেপালের অবস্থান তেমন।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশ নেপালে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছিল। তখন প্রতিদিন নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০-১০০ এর মধ্যে। কিন্তু এপিলের মাঝামাঝি ভারতের মতো দেশটিতেও প্রকোপ শুরু হয়।

ভারতে করোনার অতিসংক্রামক ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ যে ধরনটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে, ভারতের বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে ওই ধরনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল নেপালে। ধারণা করা হচ্ছে যে, নেপালেও ভাইরাসটির প্রকোপের নেপথে রয়েছে ভারতীয় ওই ধরন। সূত্র : বিবিসি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: