পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-সমর্থিত দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, এখনই দেখা যাবে কারা আমাদের আসল বন্ধু।
আমরা কাউকে ভয় পাই না। কোনো কিছুতেই ভয় পাই না। কারও কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না, কারও হাতে আমাদের ভূখণ্ড তুলেও দেব না। খবর বিবিসির।
জেলেনস্কি বলেন, এই সংকটময় পরিস্থিতিতে আমাদের মিত্র দেশগুলোর সহযোগিতা প্রার্থনা করছি। এখন এটিই দেখার যে কারা আমাদের আসল বন্ধু। কারা রাশিয়ার এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও বিষয়টি খুব ভালো চোখে দেখছে না। বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকও ডেকেছে। রাশিয়াকে এ সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে নিরাপত্তা পরিষদে আর্জি জানিয়েছে ব্রিটেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছে, রাশিয়ার এই অনমনীয় পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম, ইউক্রেনের অখণ্ডতা এবং মিনস্ক চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আমি মনে করি রাশিয়ার এই পদক্ষেপে ইউক্রেনের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এমনকি জাতিসংঘের নীতিকেও লঙ্ঘন করেছে।
ইউক্রেন শান্তি বজায় রাখতে চায়। কূটনৈতিক আলোচনা এবং পন্থার মধ্য দিয়েই সেই কাজ চালিয়ে যেতে চায়। তবে রাশিয়ার হাতে কোনোভাবেই নিজেদের ভূখণ্ড তুলে দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার এ বার্তা এবং হুশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।
পশ্চিমাদের সতর্ক বাণী উপেক্ষা করে সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-সমর্থিত দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আবহকে আরও উসকে উঠেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: