রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে যেসব সেনা মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের তিনি শান্তিরক্ষী বলেছেন। আর পুতিনের এমন বক্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড। লিন্ডা পুতিনের এই বক্তব্যকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ হিসেবে অভিহিত করেন। রাশিয়ায় নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা জানি, ওই সেনারা আসলে কারা।’
পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চলে রুশ সেনা মোতায়েন বিষয়ে এর আগে দুঃখ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লো। এরপরই লিন্ডা এমন মন্তব্য করলেন।
এদিকে মস্কোর এসব সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের জবাবে রাশিয়ায় নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা নিয়ে তাঁরা মিত্র ও অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন।
পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চলকে পুতিন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এসব অঞ্চলে নতুন বিনিয়োগ, বাণিজ্য, অর্থায়ন দ্রুত বন্ধ করতে পারেন। তবে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের সঙ্গে মার্কিনদের লেনদেন কম। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি গতকাল সোমবার বলেন, ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে নতুন বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও অর্থায়ন নিষিদ্ধ করে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন বাইডেন।
তবে শীর্ষ এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি যা–ই হোক, রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চলবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেকোনো সময় রাশিয়ায় বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ায় রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কূটনীতির ব্যাপারে পুতিনের কোনো আগ্রহ নেই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: