দ্রুত ভারত ত্যাগ করার নির্দেশ আমেরিকান নাগরিকদের

সময় ট্রিবিউন | ১ মে ২০২১, ০১:১৫

ছবি: ইন্টারনেট

ভারতে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে ভারতে থাকা আমারিকানদের সতর্ক করল বাইডেন প্রশাসন। ভারতে আমেরিকানদের যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি যে সব মার্কিনিরা এখন ভারতে রয়েছে, তাদের যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণের কারণে ভারতে সমস্ত রকম মেডিক্যাল কেয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছে তাই আমেরিকা তার দেশবাসীর জন্য এই নির্দেশ জারি করেছে বলে জানানো হয়েছে।

ভারতকে লেভেল ফোর ট্রাভের অ্যাডভাইসরিতে রেখেছে আমেরিকা। এটি সর্বোচ্চ লেভেল। আমেরিকার তরফ থেকে দেশবাসীকে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত ভারত ছাড়া যায় ততই তাদের জন্য নিরাপদ। জরুরি অবস্থায় কনস্যুলার সার্ভিস প্রোভাইড করার জন্য নয়াদিল্লির আমেরিকান দূতাবাসে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এছাড়া চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কলকাতা ও মুম্বইয়ের আমেরিকান দূতাবাসও খোলা হয়েছে।

আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতে করোনার কারণে মেডিক্যাল কেয়ার মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। আমেরিকার নাগরিকদের দেশে ফেরার জন্য কমার্শিয়াল অপশন এখন খোলা রয়েছে। প্রতিদিন আমেরিকা পর্যন্ত সরাসরি বিমান পাওয়া যাবে। এছাড়া প্যারিস ও ফ্র্যাঙ্কফ্রুট হয়েও আমেরিকার বিমান মিলবে।

সাম্প্রতিকতম তথ্য ও যাত্রার বিধি নিষেধ সম্পর্কে জানার জন্য মার্কিন নাগরিকদের ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ভারতে করোনার প্রভাবে রেকর্ড পরিমাণে মৃত্যুহার বাড়ছে।

অনেক জায়গায় করোনা পরীক্ষা সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালগুলিতে শয্যা ও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। করোনা রোগী ও যাদের করোনা হয়নি সবাই এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। জায়গা না থাকার কারণে অনেক হাসপাতাল মার্কিন নাগরিকদের ভর্তি নিতে অস্বীকার করেছে। এছাড়া সংক্রমণ এড়াতে কিছু রাজ্য লকডাউন ও কার্ফুয়ের পথে হেঁটেছে। ফরে জরুরি নয় এমন পরিষেবা ব্যহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে না থেকে ভারত থেকে ফিরে আসার কথা বলছে আমেরিকা।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৪৫ জনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫০৭। দেশে এখন অবধি মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৮৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫২৪। এর মধ্যে অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৭৮ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৪ হাজার ৮৩২ জনের।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: