১৩ জানুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা

সময় ট্রিবিউন | ১৩ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:৪৮

১৩ জানুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা

আজ শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ● ২৯ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ● ৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪৫। আজকের দিনটি সময়ের হিসাবে অতি অল্প সময়। আবার একটি ঘটনার জন্য যথেষ্ট সময়। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনেই ঘটেছে নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। অনেকের আজ জন্মবার্ষিকী আবার কেউ মৃত্যুবরণ করেছিলেন এই দিনেই।

ঘটনাবলি :

১৭০৯: প্রথম বাহাদুর শাহ হায়দরাবাদ দখল করেন।
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু।

১৮৪৮: হাডসন বে কোম্পানি ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যানকুইভার দ্বীপ দখল করে।
১৮৪৯: দ্বিতীয় আংলো-শিথ যুদ্ধ শুরু।
১৮৬৪: রাশিয়ার ইতিহাসে প্রথম প্রাদেশিক পরিষদ গঠন করা হয়।
১৮৯৭: চারুকলাবিষয়ক পত্রিকা শিল্পতত্ত্ব ও পুষ্পাঞ্জলি প্রকাশিত হয়।
১৯১৫: মধ্য ইতালিতে মারাত্মক ভূমিকম্পে প্রায় ২৯ হাজার মানুষের মৃত্যু।
১৯১৫: দক্ষিণ আফ্রিকায় জার্মানির স্কোপমুন্ড দখল।
১৯১৯: ভারতীয়দের মধ্যে স্যার সত্যেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ সর্বপ্রথম ‘লর্ড’ উপাধিতে ভূষিত হয়ে পার্লামেন্ট মহাসভায় আসন লাভ করেন।
১৯১৯: দক্ষিণ আফ্রিকায় কিম্বার্লির খনিতে ৩৮৮ ক্যারেট হীরকখণ্ড পাওয়া যায়।
১৯৫৭: ওড়িশা রাজ্যের সম্বলপুর থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে হিরাকুদে হীরাকুদ বাঁধের উদ্বোধন করেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু।
১৯৫৮: ৪৪টি দেশের ৯ হাজার বিজ্ঞানী জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানান।
১৯৬৩: টোগোতে সামরিক অভ্যুত্থান। সার্জেন্ট জিনার্সিবি এয়াদেমার হাতে প্রেসিডেন্ট সিলভানুস অলিম্পিও নিহত।
১৯৬৪: আরব দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬৭: টোগোয় সেনাবাহিনী বিনা রক্তপাতে দেশটির ক্ষমতা দখল করে।
১৯৭০: ব্রিটেনের শিখ পুলিশ সদস্যরা হেলমেটের পরিবর্তে তাদের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পরিধানের অধিকার লাভ করে।
১৯৭২: ঘানায় জুনিয়র কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপ সরকার উৎখাত করে।
১৯৭২: শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭২: বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মিয়ানমার।
১৯৭২: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও কুচকাওয়াজ সংগীত নির্ধারণ (দেশের মানচিত্র সংবলিত পতাকা অত্যন্ত জটিল এবং সাধারণ লোকের পক্ষে এর সঠিক নমুনা তৈরি অসুবিধাজনক বিধায় এই পরিবর্তন আনা হয়, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এই গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্ধারণ ও কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘চল চল চল’ গানটির ২১টি লাইন কুচকাওয়াজ সংগীত হিসেবে নির্ধারণ করে)।
১৯৭৪: যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিমানবন্দর চালু।
১৯৮৫: ইথিওপিয়ায় এক গিরিখাদে যাত্রীবাহী ট্রেন পড়ে ৪২৮ জনের মৃত্যু।
১৯৮৮: প্রথম তাইওয়ান নাগরিক লি তেংহুই চীনের প্রেসিডেন্ট হন।
১৯৯৩: রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ কনভেনশনের স্বাক্ষরদান অধিবেশন প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৪: ইতালির প্রধানমন্ত্রী কার্লোস শিয়াম্পি পদত্যাগ করেন।
২০০১: এলসালভাদরে এক বড়মাপের ভূমিকম্প হয়। এতে ৮ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
২০১২: কস্টা কনকর্ডিয়া নামক যাত্রীবাহী জাহাজ ইতালির সমুদ্র উপকূলে ডুবে যায়। ৩২ জনের বেশি যাত্রী মারা যান।

জন্ম :

১৪৫০: বার্থোলোমেও ডিয়াজ, বিখ্যাত পর্তুগিজ নাবিক ও আবিষ্কারক।
১৫৯৯: এডমান্ড স্পেন্সার, ব্রিটিশ কবি।
১৮৫৯: ভূপেন্দ্রনাথ বসু, ভারতীয় রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি, কলকাতার মোহনবাগান ক্লাবের প্রথম সভাপতি।
১৮৬৪: ভিলহেল্ম ভিন, ১৯১১ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ী জার্মান পদার্থবিদ।
১৮৮৯: নলিনীকান্ত গুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামী এবং বিশিষ্ট প্রবন্ধ লেখক।
১৮৯৪: রামনাথ বিশ্বাস, ভারতীয় বিপ্লবী, সৈনিক, ভূপর্যটক ও ভ্রমণকাহিনি লেখক।
১৮৯৭: সন্তোষকুমারী দেবী, স্বাধীনতাসংগ্রামের কর্মী ও বাংলার প্রথম শ্রমিক নেত্রী।
১৯২৬: শক্তি সামন্ত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।
১৯৩৮: নবনীতা দেবসেন, একজন বাঙালি কবি, লেখক ও শিক্ষাবিদ।
১৯৪৫: দিলদার, বাংলাদেশি কৌতুকাভিনেতা।
১৯৫৩: আবুল আহসান চৌধুরী, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও লোকসাহিত্য বিশারদ।
১৯৫৭: কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
১৯৮৩: ইমরান খান, ভারতীয় অভিনেতা।

মৃত্যু :

১৬৯১: জর্জ ফক্স, ইউরোপে সুহৃদ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৭৪: লুই পিয়ের বালতার্দে, ফরাসি স্থপতি ও প্রকৌশলী।
১৮৯৫: প্রতাপচন্দ্র রায়, বাঙালি সাহিত্যসেবী ও রামায়ণ মহাভারতসহ বহু পুরাণ গ্রন্থের অনুবাদক।
১৯০৭: কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, কবি ও সাংবাদিক।
১৯৩৫: স্যার আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী, রাজনীতিবিদ ও গ্রন্থকার।
১৯৪১: জেমস জয়েস, আইরিশ কথাসাহিত্যিক ও কবি।
১৯৫৯: হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ অভিধান সংকলক।
১৯৬২: অজয় কুমার ঘোষ, কমিউনিস্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী।
১৯৬৩: নিখিলরঞ্জন সেন, ভারতে ফলিত গণিতের জনক বাঙালি বিজ্ঞানী।
১৯৮৩: রাধামোহন ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট বাঙালি চলচ্চিত্র ও মঞ্চাভিনেতা, সিনেমা সমালোচক ও বহুভাষাবিদ।
১৯৮৮: চিয়াং চিং কুও, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট।
১৯৯৬: দেনিজ গ্রে, ফরাসি নাট্য ও চলচ্চিত্রাভিনেতা।
১৯৯৮: বেদারউদ্দিন আহমদ, বাঙালি নজরুলগীতি ও উচ্চাঙ্গ সংগীতশিল্পী।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: