অতিমারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে করোনায় একজন এবং উপসর্গে ৭ জন মারা গেছেন।
করোনা সংক্রমণে মারা যাওয়া ব্যক্তি নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। এছাড়া করোনা উপসর্গে নিয়ে রাজশাহীর দুই জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই জন, নাটোরের দুই জন এবং পাবনার একজন মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩ জন করে মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। এছাড়া ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ এবং তিন জন নারী। তাদের মধ্যে চার জনের বয়স ৬১ বছরের বেশি। এছাড়া ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৪ জন মারা গেছেন।
পরিচালক আরও জানান, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪১৮ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৭৭ জন। একদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৯২।
বর্তমানে রাজশাহীর ৮৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৩ জন, নাটোরের ২৬ জন, নওগাঁর ১৩ জন, পাবনার ১৬ জন, কুষ্টিয়ার ৭ জন, চুয়াডাঙ্গার একজন, জয়পুরহাটের ৩ জন, সিরাজগঞ্জের একজন, নীলফামারীর একজন এবং মেহেরপুরের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৮৪ জন, উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৬৬ জন। করোনা শনাক্ত হয়নি এমন ভর্তি রয়েছেন ২৭ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ জন।
এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ জনের নমুনায়।
একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ৮৫ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৩৮ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৪৩ জন, উপসর্গ নিয়ে ১৬৩ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৩৯ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ হাজার ৫১১ জন।
এই ১৫ মাসে মারা গেছেন ১ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২৬ জনের। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নয়তো অন্যান্য শারীরিক জটিলতায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: