করোনার নতুন টিকা উদ্ভাবন: নিতে হবে নিশ্বাসের মাধ্যমে

সময় ট্রিবিউন | ১৪ আগষ্ট ২০২১, ২১:২৮

করোনার নতুন টিকা- ছবি: সংগৃহীত

অতিমারি করোনাভাইরাসের টিকা নিতে ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের পর হাসপাতালে যাওয়া, বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে টিকা নেওয়া— এগুলো আর কিছুই করা লাগবে না।

এখন থেকে শুধু একবার নিঃশ্বাস নিলেই টিকা নেওয়া হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এই টিকা করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর।

সুইডেনের বিজ্ঞানীরা এমন একটি পাউডার টিকা নিয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশ এই টিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে যাচ্ছে। টিকাটি মানুষের ওপর ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে। সর্ব সাধারণের জন্য এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার আগে টিকাটির গবেষণা ও উন্নয়নের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত ট্রায়াল হবে। যে ট্রায়াল আগামী মাস বাংলাদেশে শুরু হবে।

ট্রায়াল সফল হলে বাংলাদেশ উৎপাদন মূল্যে টিকাটি কিনতে পারবে। এমনকি দেশেও এই টিকা উৎপাদন করতে পারবে। জাতির পিতার নাম অনুসারে টিকাটির নাম 'বঙ্গবন্ধু আইএসআর' রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সুইডিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হোল্ডিং এবি (আইএসআর) তাদের উৎপাদিত টিকাটি বাংলাদেশে মানুষের ওপর ট্রায়ালের খুব কাছে রয়েছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কয়েকজন ডাক্তার ও বিজ্ঞানী, যারা সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাস করছেন, তারা এই টিকা তৈরির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

মানুষের ওপর ট্রায়ালের জন্য আইএসআর এই মাসের শুরুর দিকে কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিআরও) হিসেবে বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।

সিআরও এর প্রধান তদন্তকারী প্রফেসর ডা. এবিএম আবদুল্লাহ এবং প্রফেসর ডা. অধ্যাপক আহমেদুল কবির। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই টিকার ট্রায়াল পরিচালনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

প্রফেসর আবদুল্লাহ জানান, করোনাভাইরাসের অন্যান্য দুই ডোজের টিকার মতোই এই টিকাটি প্রথমবার নাকের সামনে রেখে নিঃশ্বাস নেওয়ার পর তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার একই কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, 'ইঁদুরের ওপর পরিচালিত সুইডিশ এই টিকার ট্রায়ালের ফলাফল খুবই আশাব্যঞ্জক। কারণ এর কার্যকারিতার হার শতভাগের কাছাকাছি এবং টিকাটির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্রধানমন্ত্রী টিকাটি সম্পর্কে সবকিছু জানেন। আমরা এর নাম বঙ্গবন্ধু আইএসআর রাখার প্রস্তাব দিয়েছি।'

আইএসআর এর বিজ্ঞানীদের মতে, টিকাটি উন্নয়নে একটি বড় সুবিধা হচ্ছে— বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত কোভিডের যে টিকাগুলো আছে সেগুলোর তুলনায় এটি সংরক্ষণ করা খুব সহজ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: