দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট হয়ে উঠেছে ১১ জেলা। এসব জেলায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে শুরু করেছে। এসব জেলায় তিন সপ্তাহ আগে শনাক্ত হার সর্বোচ্চ ৪৫ ও সর্বনিম্ন ২১ শতাংশ ছিল। এখন এসব জেলায় শনাক্ত হার এসে দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ ৫৮ ও সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিকে উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর। এসব প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকে অগ্রাহ্য করা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও টিকার প্রতি আগ্রহী না হওয়ার কারণে গ্রামে সংক্রমণ বেড়ে গেছে।
করোনা শুরুর পর গত বছর নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জসহ বেশ কিছু জেলা করোনার হটস্পটে রূপ নেয়। পরে সেখানে সংক্রমণ কমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু এ মাসের প্রথম থেকে সারা দেশে আবারও সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে এসব পুরনো হটস্পটসহ ১১ জেলায় সংক্রমণ আবারও বেড়ে যায়। গতকালের হিসাবে এসব জেলায় গত তিন সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি রোগী ও মৃত্যু বেড়েছে।
জেলাগুলো হলো ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, গাইবান্ধা, ভোলা, বরগুনা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বেড়েছে কুমিল্লায় ২৬ শতাংশ। তিন সপ্তাহ আগে ৫ জুলাই এখানে শনাক্তের হার ছিল ২৭, গতকাল তা বেড়ে হয়েছে ৫৩ শতাংশ। ভোলায় বেড়েছে ২৬ শতাংশ। তিন সপ্তাহ আগে ছিল ২১, এখন ৪৭ শতাংশ। মানিকগঞ্জে ১৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪২ শতাংশ। এ ছাড়া শরীয়তপুর ও গাজীপুরে ১৫ শতাংশ করে, সুনামগঞ্জে ১১ শতাংশ, গাইবান্ধায় ৮ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৭ শতাংশ, ঢাকা ও বরগুনায় ৬ শতাংশ করে ও নারায়ণগঞ্জে ৩ শতাংশ বেড়েছে।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, গ্রামাঞ্চলে একটা সমস্যা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানতেই চায় না। মাস্ক পরে না। এসব না করলে সংক্রমণ বাড়বেই, কিছু করার নেই। এসব কারণে যেসব জেলায় একটু কম ছিল, সেখানেও বাড়ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: