এক বছরের বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে করোনা মহামারি। জ্বর মানেই আতঙ্ক, কোভিডের নমুনা পরীক্ষা করা জরুরি। করোনাকালের আগে বর্ষা মৌসুমে জ্বর মানে ছিল ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার আতঙ্ক। পরিস্থিতি আর আতঙ্কের নাম বদল হয়েছে। করোনা আর ডেঙ্গু—দুটিই ভাইরাসজনিত জ্বর (ভাইরাল ফিবার)। তবে করোনায় দুর্ভোগ ও মৃত্যুহার বেশি। করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়, ডেঙ্গু মশা থেকে মানুষে।
গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৩ জনের ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে।
রোববার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে মোট ভর্তি ৫৩ জন রোগীর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে আটজন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪৫ জন।
এ নিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৯০ জনে। তাদের মধ্যে ১৮৯ জন রাজধানী ঢাকার ও একজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জুলাই মাসের প্রথম পাঁচ দিনে শুধু ঢাকায় ১৩২ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর পরের ছয় দিনে ঢাকায় আরও ২২১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে চলতি মাসে এ পর্যন্ত ৩৫৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বমোট ৭৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে নয়জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মেতে ৪৩ জন, জুনে ২৭১ জন এবং১ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত ৩৫৩ জন রোগী ভর্তি হন। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ইতোমধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩৬ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, একজন ব্যক্তি একই সাথে কোভিড১৯ এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।
মশা নিধনের কার্যক্রম জোরদার করতে না পারলে পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা করছেন চিকিৎসকরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: