বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া অতিমারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। কোনোভাবেই ভয়াবহ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল। বর্তমানে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলেও। দেখা দিয়েছে হাসপাতালের শয্যা সংকট। পাশাপাশি অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সারাদেশে লাগামহীন করোনার ভয়াবহ থাবায় বিপর্যস্ত বেশিরভাগ জেলা। বিভিন্ন জেলা থেকে সবশেষ মৃত্যুর খবর তুলে ধরা হলো-
রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেলে মারা গেছেন ১৮ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর ৬ জন এবং কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জের একজন করে। তবে কমেছে সংক্রমণের হার।
খুলনা: খুলনার চারটি হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে খুলনার ১৫ জন, যশোরের ৪ জন, নড়াইল ও বাগেরহাটের ২ জন করে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশ।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ২২ জন মারা গেছেন করোনা ও উপসর্গ নিয়ে। ২৪ ঘণ্টায় ৭৯২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ২২০ জন।
বগুড়া: উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বগুড়ার তিনটি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন । শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ।
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন করে মারা গেছেন ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও যশোরে। ফরিদপুরে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ২ শতাংশ। ঝিনাইদহে ১৩ জন ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে। চট্টগ্রামে দুই হাজার ১০০ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৭৫৪ জন।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশালে ৮ জন করে, সিলেটে ৬ জন, নওগাঁয় ৩ জন, টাঙ্গাইলে ও মেহেরপুরে ৫ জন করে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীতে ৪ জন করে, আর ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন মারা গেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: