সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১৬ জন। এ সময় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৪৯৫ জন রোগী।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৪৯৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৫৭৪ জন ও ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৯২১ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ৩ জন ঢাকার আর ঢাকার বাইরের ১৩ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩ হাজার ৬৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২০৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৭৪২ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪৬৪ জন।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ হাজার ৪০৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫১৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৮৯১ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৯০ হাজার ৪৬৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৪৭ হাজার ২২৯ জন। ঢাকাসহ সারাদেশে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ২৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৪৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন ৫ হাজার ৮৩১ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। তবে চলতি বছরে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে ডেঙ্গু।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: