‘মোটা মানুষের করোনার ঝুঁকি বেশি’

সময় ট্রিবিউন | ১ মে ২০২১, ০১:৫০

প্রতীকী ছবি

এই মহামারিতে মোটা মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়া সবচেয়ে ঝুঁকি বেশি বলে গবেষণায় তুলে এনেছেন গবেষকরা। বিখ্যাত ব্রিটিশ চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ড্রোক্রাইনোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাদের ওজন বেশি তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকেন। এমনকি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তির ঝুঁকিও বেশি থাকে।

এ বিষয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ওজন বেশি থাকার কারণে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বড় কোনো পরিসরে এ ধরনের গবেষণা এই প্রথম।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ৬৯ লাখের বেশি মানুষের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অথবা মারা গেছেন এমন ২০ হাজারের বেশি করোনা রোগীর তথ্য এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

গবেষকরা বলছেন, বিএমআইয়ের (উচ্চতা অনুসারে ওজন) সূচকে যাদের ওজন প্রতি বর্গমিটারে ২৩ কেজির বেশি, তাদের করোনায় গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিএমআইয়ের সূচকে প্রতি এক ইউনিট ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৫ শতাংশ বেশি থাকে। আর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তির ঝুঁকি ১০ শতাংশ বেশি থাকে।

গবেষকেরা আরও বলছেন, শুধু ওজন যাদের বেশি তারাই ঝুঁকিতে আছেন, বিষয়টি এমন নয়। যাদের ওজন কম, করোনায় সংক্রমিত হলে তাদের ক্ষেত্রেও অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে।

গবেষণা অনুসারে ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের কারণে করোনার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে ৬০ বছরের বেশি যাদের বয়স, তাদের অতিরিক্ত ওজনের কারণে ঝুঁকি কম হয়। ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ওজনের কারণে করোনায় গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কম থাকে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওই গবেষণার নেতৃত্বদানকারী লেখক কারমেন পিয়েরনাস বলেন, অল্প পরিমাণে ওজন বাড়লেও করোনায় জটিলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ওজন যত বাড়ে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর জটিলতা তত বেশি বাড়ার ঝুঁকি থাকে।

পিয়েরনাস আরও বলেন, ৪০ বছরের নিচে যাদের বয়স অতিরিক্ত ওজনের কারণে তাদের মধ্যে করোনার জটিলতার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে ৮০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে করোনায় জটিলতার সঙ্গে ওজনের তেমন কোনো সম্পর্ক থাকে না। গবেষকরা বলছেন, এ কারণে যাদের ওজন বেশি, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া উচিত।

গত বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণা করেন গবেষকরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: