ঢাকায় আসা দগ্ধদের অবস্থা ক্রিটিক্যাল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২৯

শুক্রবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গিয়ে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী-ছবি সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সব রোগীর অবস্থায়ই ক্রিটিক্যাল।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, লঞ্চে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ দগ্ধ হয়েছে বেশি। ৮১ জন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে ১০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখানে আসা সবার অবস্থায়ই ক্রিটিক্যাল। সবার শ্বাসনালী পুড়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে ইঞ্জিন রুম থেকে। সেখানে কিছু এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরণ হয়েছে। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাত সদস্যের একটি চিকিৎসক দল বরিশালে গেছে। তারা সেখানে চিকিৎসা দেবেন। ঢাকায় আসাদেরও সর্বাত্মক সেবা দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে দগ্ধের ঘটনা বাড়ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও কারাখানায় মানুষ দগ্ধ হচ্ছে। তাই গত সপ্তাহে একনেকে আমরা একটি প্রকল্প পাস করেছি। আটটি বিভাগের মধ্য পাঁচটি বিভাগে বার্ন ইউনিট করা হবে। ১০০ বেডের হবে এসব ইউনিট। সেখানে সকল উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করছি। ক্যানসার হাসপাতাল হচ্ছে দেশের বিভাগীয় শহরেও।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ লঞ্চটিতে আগুন ধরে। জীবন বাঁচাতে অনেকেই নদীতে লাফিয়ে সাঁতরে তীরে উঠেন। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: