দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বেরোবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী গুরুতর জখম

সময় ট্রিবিউন | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৪২

ছুরিকাঘাত-প্রতীকী ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: মনিরুজ্জামান ও জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পরাগ মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটের সামনে পরাগ মাহমুদ এবং সকালে রংপুরের কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুলের সামনে শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। গুরুতর জখম হওয়া শিক্ষক মনিরুজ্জামান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আর শিক্ষার্থী পরাগ মাহমুদ প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) চিকিৎসাধীন থাকলেও পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

এদিকে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইজার আলী।

শিক্ষক মনিরুজ্জামানের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী জানান, নগরীর আদর্শ পাড়া থেকে সাইকেল চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিল শিক্ষক মনিরুজ্জামান। ভোর সাড়ে ৫টায় কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুলের সামনে পৌঁছালে আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী দু'জন ব্যক্তি তার সাইকেল থামিয়ে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মোবাইল এবং পকেটে থাকা ৩ হাজার ১শ টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গুরুতর জখম হওয়া শিক্ষার্থী পরাগ মাহমুদ জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে পার্কের মোড় পারকভিউ ছাত্রাবাস থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সরদারপাড়ায় বন্ধুর ছাত্রাবাসে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের পূর্ব পাশে মর্ডান মোড় থেকে তিনজন এসে তার রাস্তা আটকায়। পরে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় ছিনতাইকারীরা একটি চাপাতি দিয়ে পরাগের ডান হাতে কোপ দিয়ে ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম বলেন, শিক্ষার্থী পরাগ মাহমুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর জন্য রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক। তাকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষক মনিরুজ্জামান গুরুতর জখম হলেও তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইজার আলী বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে (আজ) শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ২০ আগস্ট মেসের তালা ভেঙে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের সময় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের (শিক্ষার্থী নাজমুল হুদা এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: