করোনাকালে ২০১ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

সময় ট্রিবিউন | ৩০ আগষ্ট ২০২১, ১৮:০১

আত্মহত্যা-ছবি: সংগৃহীত

অতিমারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নানা কারণে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছেন ২০১ জন শিক্ষার্থী। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীই বেশি, সংখ্যায় ৯৮ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ জন, কলেজ পড়ুয়া ৩৮ জন, মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।

দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের হিসাব অনুযায়ী এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকে শিক্ষার্থীই ভুগছেন মানসিক যন্ত্রণায়।

শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, সনদ ও ফলনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের সামাজিকীকরণে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না বলেই শিক্ষার্থীরা এ ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের বিশেষ কাউন্সিলিং চালুর পরামর্শ মনোবিজ্ঞানীদের।

দেশের পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া দশ জন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর তাদের চাকরিতে প্রবেশের কথা থাকলেও এখনো শেষ হয়নি শিক্ষাজীবন। এখন তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

তারা বলছেন, পারিপাশ্বিক চাপ এত বেশি হয়ে যাচ্ছে যে ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কিত তারা। অন্যদিকে একাডেমিক বিষয়টি নিয়ে দুচিন্তায়। করোনা পরিস্থিতি দেশের শিক্ষার্থীদের একটা লম্বা সময় ধরে ভোগাবে বলে মনে করেন তারা।    

অতিমারি করোনার কারণে গতবছরের মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঘরবন্দি শিক্ষার্থী। এই সময়ে নিঃসঙ্গতা, মানসিক বিষণ্ণতা, আর্থিক ও সম্পর্কের টানাপোড়েন ও বেকারত্বের কারণে অনেকেই ভুগছে ভয়াবহ মানসিক সমস্যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগ এবং উপানুষ্ঠানিক ও জীবনমুখী শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এখন করোনা চলছে, আরো অনেক সমস্যা আছে যেমন বন্যা, খরা ও ভূমিকম্প বিভিন্ন কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকতে পারে। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি বন্ধ থাকে সেক্ষেত্রে আমরা শিক্ষকরা কি করতে পারি, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মানসিকতা যদি বিপদগামী না হয়, তারা যেন সঠিক পথে থাকে তার জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে আনন্দদায়ক করতে হবে।   

মানসিক বিষণ্ণতা রোধের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ কাউন্সিলিং চালুর পরামর্শ মনোবিজ্ঞানীদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর-মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, এ সময় আমরা যদি ভার্চুয়ালি হলেও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি তাহলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা উপায় হতে পারে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: