এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা : প্রতি বেঞ্চে বসবে একজন

সময় ট্রিবিউন | ১৮ আগষ্ট ২০২১, ২৩:৫৭

ছবি : ইন্টারনেট

২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা বিকল্প উপায়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা হবে। করোনার কারণে পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও শুধু নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে, তাই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানা গেছে।

শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার যেহেতু নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে, তাই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আবশ্যিক বিষয় থাকলে যে কেন্দ্রে ৫০০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হতো, আবশ্যিক বিষয় না থাকায় সেই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে বড়জোড় ১০০ জন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে কোনো সমস্যা হবে না।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এবার এসএসসি ও এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রেই গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ে ছয়টি সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাছাইয়ের সুযোগ বাড়ছে। আগে ১০টি প্রশ্নের মধ্যে ৭-৮টির উত্তর করতে হলেও এবার করতে হবে চারটি।

এবার এইচএসসিতে যদি কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বচনিক বিষয় পদার্থ, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত থাকে, তাহলে তাকে এই তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে পরীক্ষা দিতে হবে। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। রচনামূলক অংশে নম্বর থাকবে ৩৫ ও এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন) থাকবে ১৫ নম্বরের।

তবে প্রশ্নপত্র এখন যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ থাকবে। আগে যেখানে ১০টি প্রশ্নের মধ্য থেকে আটটির উত্তর দিতে হতো, সেখানে এখন সেই ১০টি প্রশ্নই থাকবে। তবে এর মধ্যে চারটির উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বেছে নেওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে। আর প্রতি বিষয়ে মোট নম্বর ১০০ নম্বরের বদলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে ৫০ নম্বরকে ১০০তে রূপান্তর করে পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে।

তবে এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষা নেওয়া আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিরা বলছেন, করোনার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। অন্যদিকে টিকা নেওয়ার হারও বেড়েছে। পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন এমন শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রায় সবাই টিকার আওতায় এসেছে। তাই ছোট পরিসরে হলেও পরীক্ষাটা নিতে চাই, কারণ এতে কম করেও হলেও মেধার মূল্যায়ন হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। এইচএসসি ফরম পূরণের কাজ চলছে। চলতি মাসের মধ্যে এ পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে। এখনও এ দুটি পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার পুরো পরিস্থিতি অনুকূলে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: