সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণসহ ১৯ দফা দাবি বেরোবি শিক্ষার্থীদের

সময় ট্রিবিউন | ১৬ জুন ২০২১, ০২:৩১

মঙ্গলবার বিকেলে ১৯ দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্ট রাইটস ফোরাম’-ছবি সংগৃহীত

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় পরীক্ষক নির্ধারণের নিয়ম চালুসহ ১৯ দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী দূর্নীতির জড়িত তাদের সকলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্ট রাইটস ফোরাম’ সদ্য যোগদান করা উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন।

শিক্ষার্থীদের বাকী দাবিগুলো হলো-অতিদ্রুত একাডেমিক ক্যালেন্ডার ও আইন অনুযায়ী ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম দুই সেমিস্টারের মেডিকেল ফি, পরিবহন ফি, বৈদ্যুতিক বিল মওকুফ করা, প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ শুরু করা, প্রত্যেক বিভাগে ন্যূনতম ৫টি ক্লাসরুম ও ১৫ জন করে শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, কন্টিনিউয়াস মার্ক কমিয়ে এনে শিক্ষার মান উন্নত করা, শিক্ষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও বিচার বিভাগ, চারুকলা বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চালু করা।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীর আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও খাবারের মান উন্নয়নে ভর্তুকি দেওয়া, ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন (টিএসসি) প্রতিষ্ঠা করা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে 'মেধাবৃত্তি' ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া, বিভাগসমূহে ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, শিক্ষার্থীদের উপর যেকোন ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, প্রক্টরিয়াল বডিকে শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা, ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

১৯ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম, ইনডোর, অডিটেরিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিং পুল নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিসর বৃদ্ধি করা, খেলার মাঠ সংস্কার করা, বন্ধ হয়ে যাওয়া উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে বইয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে, সমাবর্তন আয়োজন করা, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষকদের বাংলার পাশাপাশি  ইংরেজিতে মাধ্যমেও ক্লাস নেয়ার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

স্টুডেন্ট রাইটস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী বায়জিদ আহমেদ বলেন, উপাচার্য স্যার আমাদের বলেছেন তিনি দাবিগুলো দেখবেন। সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে এসব সমস্যা সমাধান করবেন। পাশাপাশি পরীক্ষার গ্রহণের বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান এবং অনুষদের ডীনদের সাথে কথা বলে অতিদ্রুত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিবেন।

এসময় স্টুডেন্ট রাইটস ফোরামের সভাপতি মিলন মাহমুদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. হাসিবুর রশীদ। যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যাগুলো দূর করে আগামী চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন পূর্ণাঙ্গতা পায়, সে ব্যাপারে কাজ করবো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: