ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের জন্য হল খোলার দাবিতে পূর্বঘোষিত 'বিক্ষোভ কর্মসূচি' করতে পারেনি আন্দোলনকারীদের। তাদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের বাধায় কর্মসূচি পালন সম্ভব হয়নি।
রোববার (৬ জুন) বেলা সাড়ে এগারোটায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষোভের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজু ভাষ্কর্যে দাঁড়ালে তাদের সামনে মাদক, সন্ত্রাস ও মৌলবাদমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা । ছাত্রলীগের অবস্থানে চলে যেতে বাধ্য হয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১১.৩০টায় রাজু ভাষ্কর্যে অবস্থান নিলে হঠাতই আরেকটি ব্যানার নিয়ে আমাদের ব্যানারের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তখন আমরা তাদের বলি "এটা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি, আমরা স্বল্প সময় কথা বলেই মিছিল নিয়ে চলে যাব তারপর আপনারা কর্মসূচি পালন করেন"। প্রতিউত্তরে তাদের একজন বলেন, " আমাদের ভিসি স্যারের অনুমতি আছে কর্মসূচি করার এখন আমরা এখনই কর্মসূচি পালন করবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখা ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা রাজু ভাষ্কর্য থেকে টিএসসির বাহিরের অংশে অবস্থান নিয়ে অপেক্ষা করি। তারা কর্মসূচি পালন না করে দাড়িয়ে থেকে কালক্ষেপন করছিল এবং মহানগর ও ঢাকা কলেজের তাদের অনুসারীরা এসে তাদের সাথে যুক্ত হতে থাকে। আমাদের আশেপাশে মহড়া, বাইক শোডাউন দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। আমাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দিতে এমন পরিকল্পিত পরিস্থিতি তারা তৈরী করে। এমতাবস্থায় অপ্রীতিকর পরস্থিতি এড়াতে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা টিএসসি ত্যাগ করতে বাধ্য হই।
মাদক, সন্ত্রাস ও মৌলবাদমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তুনান, শিক্ষা ও পাঠ চক্র সম্পাদক ইবনুল এম হাসান, গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক সাকিব আল হাসান, এফ রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সাজু, সলিমুল্লাহ মুলসিম হল শাখার সহ সভাপতি তানভীর সিকদার, বিজয় একাত্তর হলের সহ-সভাপতি রবিউল হাসান রানা, সার্জেন্ট জহুরুল হল হল শাখার সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা, এফ রহমান হলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তানজিম আল আমিন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী নাবিল হায়দার।
উপস্থিত একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন, মাদক ও সন্ত্রাস ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। কারো প্রোগ্রামে বাধা দিতে দাঁড়ায়নি।
পূর্বঘোষিত কোনো কর্মসূচি ছিল কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। আমরাও তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, যেকোন সময় প্রোগ্রাম করতে পারি। তাছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে প্রোগ্রাম তো আর ঘোষণা দিয়ে হবে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: