ফ্রিল্যান্সিং এর নামে জবি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা

সময় ট্রিবিউন | ২ জুন ২০২১, ০৭:২৩

ছবি : ইন্টারনেট

ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং করানোর নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়েরই অপর কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
প্রতারণার শিকার কয়েকজন শিক্ষার্থী এই বিষয়ে ৩০ শে মে (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন তন্ময় তানভির ১৪ তম ব্যাচ, মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট , জিসানুর রহমান ১৪তম ব্যাচ মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, সাব্বির হোসেন সকাল,নাট্যকলা ডিপার্টমেন্ট ১১ তম ব্যাচ,খাদিমুল ইসলাম আসিফ ১৫ তম ব্যাচ আই.ই.আর ডিপার্টমেন্ট প্রমুখ।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন ইতিহাস বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার শ্রেয়সী জানান, সিগনেচার মাইন্ড ইন্সটিটিউট এবং এনেক্স ওয়াল্ড ওয়াইড লিমিটেড এর নামে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখানোর কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সিনিয়র এবং জুনিয়রদের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে তিনি সহ শ খানেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা করে প্রায় কয়েক লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে তারা নামকে ওয়াস্তে কয়েকটি ক্লাস করিয়ে তাদের এমএলএম ব্যবসায় আসার জন্য প্ররোচিত করতে থাকে। পরবর্তীতে তারা টাকা ফেরত চাওয়াতে বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের রুকুনুজ্জামান সবুজ বলেন,"আমি নিজেও খুব ডিপ্রেশনে আছি এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে,আমি যুক্ত হয়ে ৪ টা ক্লাস পাইছি।আমি এখানে যুক্ত হইছিলাম এলাকার একজনের মাধ্যমে, শুরুতে ধানাইপানাই বুঝালো,এ ইনকাম ও ইনকাম পরে এসে দেখি লোক ঢুকাতে না পারলে কোন ইনকাম ই নাই।"

অভিযুক্তদের একজন ১৫ তম ব্যাচের আই.ই.আর এর খাদিমুল ইসলাম বলেন, " আমি সিগনেচার মাইন্ড এর সাথে কাজ করছি। এখানে আমার সাথে যারা কাজ করে তারা সবাই সার্ভিস নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি কোনো ধরণের প্রতারণার সাথে জড়িত না।"

এ বিষয়ে সিগনেচার মাইন্ডের এডমিন কর্মকর্তা আকাশ বলেন " আমাদের কাছে সরাসরি কোনো অভিযোগ আসেনি। কেউ যদি আমাদের সার্ভিস নিয়ে সন্তুষ্ট না হয়,আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিব।"

ফোন অফ থাকায় অভিযুক্ত অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন," আমাদের কিছু শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এর নামে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি,তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতারকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যদি প্রতারণার সাথে জড়িত থাকে,তাহলে আমরা দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিব"।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে ১লা জুন মঙ্গলবার বেলা ৩ টার দিকে ডিএমপি কতোয়ালী থানায়
প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: