জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল ডিবেটিং ক্লাবের উদ্যোগে মীর মশাররফ হোসেন হল ও শেখ রাসেল হলের মধ্যে প্রীতি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 'এই সংসদ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীকে সমর্থন করে' শীর্ষক মোশনের উপর আয়োজিত বিতর্কে উভয় হলের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টায় মীর মশাররফ হোসেন হলের কমনরুমে এ প্রীতি বিতর্কে উভয় হলের শতাধিক শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিতর্কে সরকারি দলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন মীর মশাররফ হোসেন হলের বিতার্কিকরা। সরকার দলের প্রধানমন্ত্রী আসিফ ইরফানের (অর্থনীতি'৪৯ ব্যাচ) নেতৃত্বে এস এম মুয়াজ (ইংরেজী'৫১ ব্যাচ) ও রাগিব রিয়াসত খৈয়াম (ইংরেজি'৫১ ব্যাচ)।
বিরোধী দল হিসেবে প্রস্তাবের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন শেখ রাসেল হলের বিতার্কিকরা। বিরোধী দলীয় নেতার ভূমিকায় আরেফিন সৌরভের (ইংরেজি'৪৭ ব্যাচ) নেতৃত্বে খন্দকার জুবায়ের জহির আবেশ (অর্থনীতি'৪৮ ব্যাচ) ও আব্দুল্লাহ আল রশিদ নীরব (ইংরেজি'৫০ ব্যাচ)।
বিতর্কে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিম আহসান ও আহনাফ তাহমিদ খান রাইয়ান।
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট ড. মো. সাব্বির আলম বলেন, বিতর্ক মানুষকে ভাবতে শেখায়, যুক্তির আলোকে কথা বলতে শেখায়। বিতর্ক চর্চা শিক্ষার্থীদের চারিপাশ, সমাজ তথা দেশ নিয়ে সচেতন হতে শেখায়।তাই সবাই বিতর্ক চর্চা করবেন এবং বিতর্কের সাথে থাকবেন।
এসময় মীর মশাররফ হোসেন হল ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দীকী সাগর বলেন, বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে স্বাধীনতার পরবর্তী থেকে নব্বই দশকের পূর্ব পর্যন্ত সোনালী সময় ছিল। কিন্তু এর পরবর্তীতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে পেছনের দিকে হাঁটতে শুরু করে। ফলে, বারোশোর অধিক সিনেমা হল কমতে কমতে এখন একশর নিচে নেমে এসেছে। বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে চাইলে, মানুষকে আবারো সিনেমাহলমূখী করতে চাইলে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আলম রাজু, জোবায়ের আশিক, শেখ রাজু, আদিত্য, তোফায়েল আহমেদ গালিব, শাহরিয়ার হিমেল, সৌরভ মাজহার, সোয়েবুল হক ইউলাদ, আরাফ আল জালাল সিয়ামসহ ক্লাবের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: