সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারির তারিখ পেছানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৬ নভেম্বরের পরিবর্তে আগামী ২৮ নভেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় লটারির কার্যক্রম পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এরই মধ্যে টেকনিক্যাল সহায়তা দেওয়া প্রতিষ্ঠান টেলিটককে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ চিঠিতে সই করেন। ওই চিঠিতে ২৮ নভেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারির প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি (মহানগর ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের অনলাইন লটারি অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করা হয়েছে। ধার্যকৃত তারিখ অনুযায়ী লটারি অনুষ্ঠানের ভেন্যু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট নির্ধারণসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা আয়োজন সংক্রান্ত প্রস্তুতি বিষয়ে অধিদপ্তরকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
মাউশির ভর্তি কমিটি সূত্র জানায়, এবার স্কুলগুলোতে মোট শূন্য আসন রয়েছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে শূন্য আসন ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন। অর্থাৎ সরকারি স্কুলে শূন্য আসনের প্রায় পাঁচগুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী সংকট দেখা গেছে। সারাদেশের বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন সংখ্যা ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছে মাত্র ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৭৯ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ বেসরকারি স্কুলে এবারও প্রায় ৭ লাখ আসন শূন্য থাকবে।
গত ২৪ অক্টোবর ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। প্রথম দফায় ১৪ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদনের দিন ধার্য ছিল। এরপর ভর্তির সময় চারদিন বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর করা হয়। সেদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পেরেছে শিক্ষার্থীরা। এবার ভর্তির আবেদন ফি ছিল ১১০ টাকা। টেলিটকের মাধ্যমে তা পরিশোধ করার শেষ সময় ছিল শনিবার (১৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: