নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এসএসসির গণিত পরীক্ষায় ছোট ভাইয়ের প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বড় ভাই আলমগীর হোসেন (১৮) নামে এক তরুণ। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার শহীদ জয়নাল আবেদীন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
দন্ডপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় সৈকত ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমগীরকে আটক করা হয়। পরে প্রবেশপত্র ও রেজিস্টেশন কার্ড যাচাই-বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সে খালাতো ভাই আব্দুর রহমানের প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও সে তার খালাতো ভাইয়ের পরবর্তিতে বিগত দুটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। পরে ওই যুবককে সাজা দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। আর প্রকৃত ছাত্র আব্দুর রহমানকে চলতি এসএসসি পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা। তিনি বলেন, অভিযুক্ত আলমগীর উপজেলার সৈকত ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। বৃহস্পতিবার জুবলি হাবিবুল্লাহ মিয়ার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী তার খালাতো ভাই আব্দুর রহমানের গণিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে হলে বসেন তিনি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা পড়েন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: