পাঠদান বন্ধ রেখে মতবিনিময় সভায় শতাধিক শিক্ষক: সমালোচনার ঝড়

রাকিব হাসান, মাদারীপুর প্রতিমিধি | ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৫৪

সংগৃহীত

মাদারীপুর সদর উপজেলার শতাধিক শিক্ষক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রেখে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে না জানিয়েই মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন তারা। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে,মাদারীপুর সদর উপজেলার তিনটি ক্লাস্টারের মোট ৬৭টি স্কুলের সব শিক্ষকদের বৃহস্পতিবার ৩টায় উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহনের নির্দেশ দেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়্যোদাতুন নেছা রুপা।

মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করার জন্য দুপুরে পর থেকে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয় শিক্ষকরা। পাঠদান থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো শিক্ষার্থীরা। এতে ৬৭টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। এতে করে ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ।

সরেজমিন দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ১১ নং মহিষেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুপুর ২টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে, ১৫২ নং পূর্ব রাস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অথচ সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্ম ঘন্টা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একাধিক শিক্ষার্থীরা কান্না কন্ঠে বলেন, আমরা ইস্কুলে আইসি আর স্যারেরা আমাদের ক্লাস না নিয়ে ছুটি দিয়েছে। আমরা এখন কোথায় পড়ব অনেক দূর থেকে আমরা পড়তে এসেছি স্কুলে।

এক অভিভাবক বলেন, স্কুল বন্ধ করে শিক্ষকরা কোমলমতি শিশুদের পাঠদান বন্ধ করছে। যেখানে করোনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে সেখানে তারা এখন একটা তামাশা শুরু করছে শিক্ষা।

মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য এম আর মর্তুজা বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পাঠদান বন্ধ রাখা সুযোগ নেই। পাঠদান বন্ধ রাখা হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। যদি কেউ করে থাকে তাহলে এটা ঠিক হয়নি।

এব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবস বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা রয়েছে। পাঠদান বন্ধ রেখে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহনের বিষয়টি তাকে অবগত করা হয়নি বলেও জানান।

এব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়্যোদাতুন নেছা রুপার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: