নিজ ক্যাম্পাসে কিংবা ক্যাম্পাসের বাইরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ প্রতিষ্ঠার দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সঠিক দিকনির্দেশনা না থাকায় সামাজিক ও আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এসব শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা সহায়তা পেলেও ক্যাম্পাসের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে সহায়তা করা সম্ভব হয় না। এতে দিশাহীনভাবে অসহায়ের মতো ঘুরতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এজন্য নিরাপত্তা মঞ্চ প্রতিষ্ঠায় সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমন্বয় জরুরি। তবে সাবেক শিক্ষার্থীদের সহায়তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাস এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মানসিক হয়রানির অভিযোগ আমরা প্রায় শুনতে পাই।একই পরিস্থিতি নিজ এলাকাতেও।এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা মঞ্চ প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তা মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সাবেক শিক্ষার্থীদের পদক্ষেপ জরুরি। কারণ সামাজিক ও আইনি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাদের ভূমিকা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বড় ভাই যারা ভালো অবস্থানে রয়েছেন তাঁরা সহযোগিতা করলে নিরাপত্তা মঞ্চ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
তিনি আরও জানান,গত এপ্রিলের ১ম দিকে এক শিক্ষার্থীর পরিবার সন্ত্রাসী হামলা শিকার হয়।ঘটনাটি ঘটার তিনদিন অতিবাহিত হলেও শিক্ষার্থীর পরিবার থানায় মামলা করতে পারেনি।অন্যদিকে গত ২২ এপ্রিলে ক্যাম্পাস এলাকায় এক ছাত্রী ছিনতাইয়ের শিকার হয়।এজন্য সম্মিলিত প্রয়াসে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ানো অতি জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সোহেল ইয়াসিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, প্রতিনিয়ত নিজ ক্যাম্পাসে অনেকে নানান রকম হয়রানির শিকার হয়।এমনকি নিজ নিজ এলাকাতেও হামলা বা হয়রানির শিকার হওয়ার সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি “নিরাপত্তা মঞ্চ” থাকলে এই সকল সমস্যা অনেকাংশে কমে যেতো।বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভাই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ভালো জায়গায় রয়েছে।তাদের মাধ্যমে আমরা সঠিক আইনি সহায়তা পেতে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা মঞ্চ ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশে সারা ফেলে দিয়েছে। অসহায়, নির্যাতিত পরিবার এবং ব্যক্তিবর্গ দের তারা সাহায্য করছেন। আমাদের মাঝেও অনেক অসহায় নির্যাতিত শিক্ষার্থী এবং তার পরিবার রয়েছেন।আমার মতে, একটি নিরাপত্তা মঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হলে খুব সহজেই সঠিক রেফারেন্সের মাধ্যমে বিচার পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: