ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনায় যে সমস্যা ছিল তা ‘কেটে যাচ্ছে’ জানিয়ে তিনি বলেছেন, সেশনজটসহ শিক্ষার্থীদের অন্যান্য ভোগান্তিও সামনে আরো কমে আসবে।
বুধবার ঢাকা কলেজে এক অনুষ্ঠানে 'সাত কলেজ' নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করা কোনো চিকিৎসা নয়, এটাকে এ মুহূর্তে আমি যৌক্তিক দাবি ভাবছি না। এই সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে উন্নীত হচ্ছে, এটাই আমাদের জন্য খুব আনন্দের।”
২০১৭ সালে ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনে সরকার।
শিক্ষা কার্যক্রমে গতি আনতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ক্রমেই শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। নানা সমস্যায় নিয়মিতই আন্দোলনে নামছে শিক্ষার্থীরা।সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, তিতুমীর কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিও উঠেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য, সাত কলেজ নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা ছিল এবং সেটা ‘খুবই স্বাভাবিক’।
“কারণ সাত কলেজে আগে যেভাবে পড়াশুনা করত, যেভাবে পরীক্ষা হত, যেহেতু তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছে, তাদের সেখানে অবশ্যই ভিন্ন মানে যেতে হচ্ছে। ভিন্নভাবে করতে হচ্ছে।”
সাত কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি, সে কথা তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, দুদিক থেকেই ‘অ্যাডজাস্টমেন্টের ব্যাপার রয়েছে’।
“এই সমস্যাগুলো তারা কাটিয়ে উঠছে। আমরাও সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা সমন্বয় করছেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। সেজন্য এখন সেশনজট কমে এসেছে, এরপর হয়ত আর থাকবে না।”
সাত কলেজে পরীক্ষার ফলাফল যেন সময়মত দেওয়া যায়, সে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আশা করি, এ সমস্যাগুলো থাকবে না এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অধিভুক্ত কলেজগুলোকে যেভাবে দেখা দরকার, সেভাবেই দেখতে পারবে।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: