ই-কমার্স প্রতারণায় যাদের সম্পৃক্ততা আছে, সবাইকেই দায় নিতে হবে: অর্থমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:৩২

ফাইল ছবি

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার দায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান করার সময় কারও না কারও ছাড়পত্র নিয়েই করা হয়েছে। এখানে ছাড়পত্র দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে তাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এর সঙ্গে অন্য যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের সবারই দায়িত্ব নেওয়া উচিত।’

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ই-কমার্সে প্রতারণা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলব না। মূলত কাজটি এখন আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা আছে। তারা এসব বিষয় নিয়ে আসে আমাদের এখানে। আইটির বিষয় আছে, সেখানে আইসিটি মিনিস্ট্রি আছে। তারাও দায়িত্ব নেবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই মানুষকে ঠকায়। এটা চলে আসছে।

‘আগে যেভাবে হতো, সেটি এখন ভিন্ন আঙ্গিকে আসছে। আগে ম্যানুয়ালি করতো, এখন ইলেক্ট্রিক্যালি করছে। ডিজিটালাইজড ওয়েতে করা হচ্ছে। মানুষ বিশ্বাস করে এখন, কতদিকে নিয়ন্ত্রণ করবে? সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে অবশ্যই। সরকারই দায়িত্ব নেবে। সরকার দায়িত্ব এড়াবে কেন?’’

এদিকে ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বিভিন্ন অফিস ঢাকার বাইরেও করা হবে কি না সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বাইরে অফিস করা হবে কি না সেটা অন্য মন্ত্রণালয়গুলো বলতে পারবে। যে অফিসগুলো আছে, আমরা কোনো এক সময় ঢাকায় এসেছি। আমরা লেখাপড়া, চাকরি সব করেছি ঢাকায়। আগে ঢাকার বাইরে কিছু ছিল না। আমরা অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা বলেছি ঢাকার মধ্যে যেসব সুযোগ সুবিধা থাকবে পর্যায়ক্রমে সেই সুযোগ-সুবিধা আমাদের উপজেলা-জেলা লেভেলে নিয়ে যাব। সেভাবেই কাজ হচ্ছে। এখন আমরা সেজন্য বারবার বলে আসছি, শহর আর গ্রামের যে ফারাক সেটা থাকবে না। ক্রমান্বয়ে এ ফারাক কমে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই গ্রামের মানুষকে গ্রামে রাখার জন্য। উপজেলার মানুষকে উপজেলায় রাখার জন্য। এজন্য গ্রামের অবকাঠামো, গ্রামীণ মানুষের জন্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া, আরও অনেক কিছু করতে হবে। সেটি আমরা করে যাচ্ছি। এখন গ্রামের দিকে তাকালে দেখবেন অনেক কিছুই এখন গ্রামে আছে। গ্রামে অনেক সুযোগ সুবিধা আছে। রাস্তা, হাসপাতাল সবই আছে। আমি মনে করি যে সুযোগ-সুবিধা থাকলে তারা শহরে আসবে না। আগে দেখার জন্য ঢাকায় আসত, এখন কক্সবাজার যায়। কিছুদিন পর পদ্মা দেখার জন্য মাওয়া যাবে। ভ্রমণের জন্য ঢাকায় আসত, এখন আর ঢাকায় আসবে না। এখন অন্য জায়গায় যেতে আমরা উৎসাহিত করি।’

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করেই সঞ্চয়পত্রের সুদের হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী অর্থাৎ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যারা বিনিয়োগ করবেন তাদের মুনাফার হার পরিবর্তন করা হয়নি। যারা বেশি টাকা বিনিয়োগ করবেন তাদের মুনাফার হার কমানো হয়েছে। কোটি টাকা যারা বিনিয়োগ করবে তাদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এখন কমেছে আবার বাড়তেও পারে। সরকারের ক্ষতির কথা চিন্তা করে এটি করা হয়নি।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: