টানা কিছুদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পরে বাজারে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগি, আলু আর পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শনিরআখড়া, মিরপুর, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ২০-৩০ টাকা। দাম কমে বাজারে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে। কিন্তু গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে।
এদিকে, কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের শাক সবজির দাম বাড়তি রয়েছে। বাজারে ঢেঁড়স ৭০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা, করলা এবং চিচিঙ্গা ৭০থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচাকলা হালি প্রতি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে বাজারে পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।, যা গত সপ্তাহে দাম ছিল ৬০- থেকে ৬৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায় ও দেশি রসুনের কেজি ২২০ টাকা। ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে এবং মাঝারি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা দরে। অপরদিকে কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে ও বড় পাঙ্গাশ মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা ও শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ মাছ যথাক্রমে ৯০০, ১২০০ ও ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট কাচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের দামও বেশ চড়া। প্রতি কেজি বড় সাইজের সুরমা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা আকারভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, লাল কোরাল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে দেখা গেছে, কক মুরগি ৩৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা, লেয়ার ৩৬০ টাকা কেজি এবং হাঁস ৬০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, গরু ও খাশির মাংসের দামও। লাল ডিম ৫০ টাকা, সাদা ডিম ৪৮ টাকা, হাঁসের ডিম ৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ও খাশির মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুদি দোকানে দেখা গেছে, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা ও ভারতীয় মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। অ্যাংকর ডাল ৬৮ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, ডাবলি ৬৮ টাকা, খোলা চিনিগুঁড়া চাল ১৩৫ টাকা, মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬৮ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭৫ টাকা, মোটা চাল ৫৪ টাকা, গুঁড়াদুধ ৭৮০ টাকা, তেল ১৭০ টাকা প্রতি লিটার, ৫ লিটারের বোতল (রূপচাঁদা) ৮০০ টাকা, পামঅয়েল ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: