চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বেড়েছে দেশের পোশাক রপ্তানী। অন্যতম প্রধান রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্রে ১ দশমিক ১ শতাংশ, জার্মানিতে ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশসহ বিভিন্ন আমদানীকারক দেশে মোট পোশাক রপ্তানী বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
তবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানী বেড়েছে অপ্রচলিত বাজারগুলোতে। এর মধ্যে ভারতে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৫০ শতাংশ, জাপানে ৪২ ও চীনে ১৫ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-র মাসিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদন থেকে দেশ ভিত্তিক পোশাক রফতানির তথ্য সংকলন করেছে বিজিএমইএ। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিস্তারিত তথ্যের সঙ্গে বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পরিসংখ্যানে প্রধান দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও চলতি অর্থবছরের আগের মাসগুলোর তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে আগামী মাসে প্রবৃদ্ধি আরো হ্রাস পেতে পারে।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯৮৭ কোটি ডলার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বাজারগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, জার্মানিতে রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে৷ চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে স্পেন এবং ফ্রান্সে যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৬২ এবং ৩৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বৃ্দ্ধি পেয়ে ১৭০ কোটি ডলার এবং ১৪১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
একই সময়ের মধ্যে পোল্যান্ডে রফতানি কমেছে ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ২০২২-২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে ৪২৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যার প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়েরে তুলনায় মাত্র ১ দশমিক ১১ শতাংশ। একই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রফতানি যথাক্রমে ১১ দশমিক ৮৯ এবং ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৩৯ কোটি ডলার এবং ৭৭ কোটি ৪১ লাখ ডলারের বেশি অঙ্কে পৌঁছে।
প্রচলিত বাজার ছাড়াও অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রফতানি আগের বছরের একই সময়ের মধ্যে ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০৫ কোটি ডলার থেকে ৪০৪ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে ৪২ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের বেশি অঙ্কে পৌঁছেছে। ভারতেও রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: