শ্রমিকদের জন্য মৌলিক সেবা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হলে পোশাক খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপযুক্ত দক্ষতার অভাবে বছরের পর বছর কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমিকরা।
কম আয়ের কারণে তাঁদের স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণের আর্থিক সামর্থ্য থাকে না। এ ছাড়া কর্মীদের শিশুসন্তানদের জন্য ডে-কেয়ার এবং শিক্ষার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক শ্রমিক শেষ পর্যন্ত কাজ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে 'তৈরি পোশাক শ্রমিকদের কল্যাণে করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী।
বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হক, বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ ও সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের ইউডিপি এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের ক্লাইমেট চেঞ্জ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী। সভায় ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার (ওএসএসসি) মডেল উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক এসকে মুজিবুল হক। অনুষ্ঠানে পোশাক কর্মীদের জন্য ব্র্যাক প্রতিষ্ঠিত ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টারের কার্যকারিতা সংক্রান্ত একটি গবেষণার ফল উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, জীবনমান ও সেবা নিশ্চিতের জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এসব লক্ষ্য অর্জনে কাজ চলছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী বলেন, শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা খুব প্রয়োজন। এ সম্পর্কিত দুটি ফান্ড আছে। একটা রয়েছে সেন্ট্রাল ফান্ড, যেটা শুধু তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের জন্য। অন্যটি আছে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন। এই ফান্ড দুটি দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিককে স্বাস্থ্যসেবা ও তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য, দুর্ঘটনায় আহত হলে এবং মৃত্যুজনিত কারণে এককালীন টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।
বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে নতুন নতুন যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। সাহায্যকারী শ্রমিকের প্রয়োজন কমে যাওয়ায় নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: