চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে আরও ৬১৩ রোহিঙ্গা নাগরিককে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল (শুক্রবার) কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে আনা হয়।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ তাদের নিয়ে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব ছেড়ে যায়।
তাদের নৌবাহিনীর সার্জেন্ট জহুরুল হক ঘাঁটির পাশে অস্থায়ী তাঁবুতে রাখা হয়। এরপর শনিবার সকালে তাদের বোট ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়।
সরকারের তথ্যমতে, মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় এগারো লাখ। গত বছরের ডিসেম্বরে ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গার একটি দল প্রথম ধাপে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আট দফায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।
জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: