উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল হিমালয়ের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় শীতের মাত্রা বেশি হয়। শীতের আগমনে ইতোমধ্যে উপজেলার নেকমরদ বাজার সহ বিভিন্ন হাটবাজারে গরম কাপড় বিক্রি শুরু করেছেন দোকানদাররা।
রাস্তার পাশে বসা সেই দোকানগুলোতে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। তারা নিজের পছন্দমতো কিনছেন শীতের পোশাক। শীতের পোশাক বিক্রি করা দোকানগুলোতে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে প্রকারভেদে ৩০০ টাকার পোশাক পাওয়া যায়।
ওই ফুটপাতে কথা হয় ধর্মগড় ইউনিয়নের মন্ডলপারা এলাকার আমিনুল ইসলাম ও আতিয়া নাসরিন দম্পতির সঙ্গে। তাঁরা জানান, বড় মার্কেটের দোকানগুলোতে শীতের গরম কাপড়ের যা দাম, তাতে স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।
শহর থেকে গ্রাম অঞ্চলে শীত বেশি অনুভব করা যায়। তাই শীত নিবারণে পরিবারের সদস্যদের জন্য এখানে পোশাক কিনতে আসা।
সমাজকর্মী আনিসুর রহমান জানান, হিমালয়ের পার্শ্ববর্তী জেলা হওয়ায় শীতের মাত্রা তুলনামূলক বেশি। এবারে শুরুতেই যে হারে শীতের মাত্রা অনুভব করা যাচ্ছে, গতবারের চেয়ে এবারে শীতের মাত্রা বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে।
সেচ্ছাসেবী সংগঠন রাণীশংকৈল ফেসবুক ব্যবহাকারী গ্রুপের এডমিন আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও আমরা শীতে শীতবস্ত্র বিতরণ করব। তুলনামূলকভাবে আমাদের কিছু সীমান্ত এলাকা রয়েছে যেদিকে শীতের মাত্রা বেশি। তাই সকলের মানবতার পাশে দাঁড়ানো সময়ের দাবি।
পোশাক বিক্রেতা লুতফর রহমান জানান, এবারও শীতের পোশাক বিক্রি করছি। গতবারের চেয়ে এবার শীত বেশি হবে মনে হচ্ছে। গ্রামঞ্চল থেকে শীতের পোশাক কিনতে অনেক ক্রেতাই আসছেন। তবে এখনও পুরোপুরি শীত না আসায় ক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে শীতের পোশাক কিনতে পারছেন।
শামসুল নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘সারা দিন ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে। গত এক সপ্তাহ আগেও তেমন বিক্রি ছিল না, কিন্তু চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি করছি।’
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘গরিব মানুষের জন্য সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংগঠন, এনজিও ও সমাজের বিত্তবানদের এ গিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: