হামলার মূলহোতা সৈকত ছাত্রশিবির থেকে ছাত্রলীগে

সময় ট্রিবিউন | ২৪ অক্টোবর ২০২১, ২০:০১

ছবিঃ সংগৃহীত

মূল পরিকল্পনাকারী সৈকতের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে র‌্যাব। তাঁরা বলছেন, এক কলেজে পড়লেও অন্য কলেজের নেতা বলে পরিচয় দেন তিনি। এভাবে ফেসবুকে ভুয়া আত্মপ্রচার চালাতেন সৈকত। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সৈকত আগে ছাত্রশিবিরের কর্মী ছিলেন। 

কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে দর্শন বিভাগ শাখার সহসভাপতির পদও পান তিনি। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে গত ১৮ অক্টোবর বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কুমিল্লার ঘটনার পর থেকেই সৈকত নানা উসকানিমূলক পোস্ট দিচ্ছিলেন। পরিতোষ ও উজ্জ্বলের দ্বন্দ্বের ঘটনাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছিলেন সৈকত। র‌্যাব পরিচালক বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে একটি নাজুক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সৈকত। পরিতোষের বার্তাকে কেন্দ্র করে সৈকত উসকানি ছড়ানোর পাশাপাশি নেতৃত্ব দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।

সৈকত মণ্ডল ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সৈকত রংপুরের একটি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। রংপুরে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে নিজে প্রচার করতে পারেন কিন্তু তাঁর কোনো রাজনৈতিক পদ-পদবি আমরা পাইনি।’

শিবিরের যোগসাজশ: স্থানীয়রা জানান, সৈকত মণ্ডল কারমাইকেল কলেজে গিয়ে ছাত্রলীগ করলেও আগে তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতেন। এলাকায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের লোকজনের সঙ্গে তাঁর চলাফেরা ছিল।

কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার বলেন, ‘সৈকত আগে থেকেই ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ পীরগঞ্জের ঘটনাটি আমাদের নজরে আসায় মহানগর ছাত্রলীগের পরামর্শক্রমে তাকে বহিষ্কার করা হয়।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: