ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী আবদুল হালিম (৩৮) মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে মারধর, মনোনয়নপত্র ছিনতাই ও অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
রোববার মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে অপহৃতের পর প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষে সন্ধ্যায় পৌরসভার বাঁশপাড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে পুলিশের সহায়তায় তাকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এঘটনায় দু'জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আবদুল হালিম পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে।
এ বিষয়ে আবদুল হালিম বলেন, 'আজ বিকেলে আমি কয়েকজন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলাম। উপজেলা গেটে পৌঁছানোর পর বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোস্তফার কয়েকজন সমর্থক আমার গতিরোধ করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারধর শুরু করেন। আমার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে টেনে হেঁচড়ে একটি অটো রিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখেন। ফলে, আমি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারিনি।'
এ ঘটনার বিচার দাবি করে থানায় মামলা করবেন বলেও জানায় তিনি।
ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিক উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশির ও মেজবাহ উদ্দিন নামে দুজনকে আটক করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ছাগলনাইয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল পারভেজ বলেন, 'তিনি ঘটনাটি শোনার পর ছাগলনাইয়া যান এবং ঘটনার সত্যতা দেখতে পান।'
তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'আমার কার্যালয়ের সামনে হৈ চৈ হয়েছে। তবে, নির্বাচন কার্যালয়ে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেউ অভিযোগও করেনি। বাইরে কোনো ঘটনা হলে সেটি আমার জানার কথা নয়।'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: