অতিমারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মহানগর এলাকার ৬৭৫ ও উপজেলা পর্যায়ের ৫১৮ জনসহ মোট এক হাজার ১৯৩ জন মারা গেছেন।
একই সময়ে ১২টি ল্যাবে দুই হাজার ১৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০২ জনের বাড়ি মহানগর এলাকায় ও ১১৬ জন ভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৭ হাজার ৬৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মহানগর এলাকার ৭১ হাজার ৩২৫ জন ও ২৬ হাজার ৩৪৫ জন উপজেলা পর্যায়ের রোগী রয়েছেন।
মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র আরও জানায়, উপজেলা পর্যায়ে নতুন শনাক্ত রোগীর মধ্যে ছয় জনের বাড়ি লোহাগড়া উপজেলায়। এ ছাড়া, সাতকানিয়ার আট জন, বাঁশখালী উপজেলার তিন জন, আনোয়ারার তিন জন, পটিয়ার সাত জন, বোয়ালখালীর পাঁচ জন, রাঙ্গুনিয়ার দুই জন, রাউজানের ৩৪, ফটিকছড়ির সাত জন, হাটহাজারীর ২৩ জন ও ১১ জন সীতাকুণ্ড উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় দুই জন ও উপসর্গে তিন জন মারা গেছেন। একই সময়ে ২৭১টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার করোনা ডেডিকেটেড কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত এই মৃত্যু ও শনাক্ত হয়। একই সময়ে জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৯১ জন।
তিনি আরও বলেন, মারা যাওয়া সবাই কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড ২৫০-শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বর্তমানে হাসপাতালে ১২৮ জন রোগী ভর্তি আছেন এবং জেলায় হোম আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৪৭১ জন।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে ৩৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৭০৭ জন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: