করোনার কারণে দেশজুড়ে চলমান লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। পরিবার নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। গত রবিবার(১১ জুলাই) নিজ এলাকা ময়মনসিংহের ত্রিশালে এমন তিরিশটি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার দিদার নূর।
জানা গেছে, লকডাউনে নিরন্ন মানুষের সাময়িক ক্ষুধা লাঘবের জন্য এবারের ইদের বেতন বোনাসের অংশ থেকে এ কাজ করেছেন দিদার। কর্মব্যস্ততার কারণে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় তাঁর ভাই মাজহারুল ইসলাম মনিরের মাধ্যমে ৩০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করেন এসব খাদ্যসামগ্রী। বিতরণ কার্যক্রমে সহযোগিতায় ছিলেন ইমামুল হাসান রিয়াদ ও আজহারুল আমিন সবুজ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিদার নূর বলেন, লকডাউনের কারণে অনাহারে-অর্ধাহারে কাটানো অভাবী মানুষগুলোর পাশে দাড়াতে পেরে খুব ভাল লাগছে। যেখানে জন্মেছি, বেড়ে উঠেছি সেখানকার খেটে খাওয়া, ক্ষুধার তাড়নায় জর্জরিত মানুষগুলোর আর্তনাদ আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। ক্ষুধার জ্বালা যে বড় জ্বালা! নিরন্ন মানুষগুলোর সাময়িক ক্ষুধা লাঘবের জন্য আমার এবারের ইদের বেতন বোনাসটা নাহয় তাদের সাথেই ভাগ করে নিলাম। পরম করুণাময়ের কাছে অশেষ শুকরিয়া যে আগামী কয়েকটা দিনের খাবার জোগাড় করার জন্য ৩০টি অনাহারী পরিবারের কপালের চিন্তার ভাঁজ কিছুটা হলেও কমাতে পেরেছি। এই মানুষগুলোর কাছে তিনবেলা খেতে পারাটাই যে এখন পরম আরাধ্য। এই শ্বাসরূদ্ধকর কঠিন সময়গুলো দ্রুতই কেটে যাক। করোনা মহামারী দূর হয়ে আবারো মুখরিত হয়ে উঠুক প্রতিটি জনপদ।
উল্লেখ্য, দিদার নূর মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে ৩৭তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তার কর্মস্থল সাতক্ষীরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: