ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে পুনরায় সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালের ৫ ই জুলাই ঐ খালের স্থাপনা তৎকালীন বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন উচ্ছেদ করেন। কিন্তু তিন বছর পর সেই একই জায়গায় প্রাচীর নির্মাণ করলেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দের সময়ে।পুনরায় স্থাপনা নির্মানের ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং উপজেলা আ'লীগের সদস্য সুবাস সাহা সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর বাজারে অবস্থিত তার মার্কেট সংলগ্ন একটি সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। সাতৈর ইউনিয়নের ৪৬ নং বড়নগর মৌজার ৬৩ নং দাগের এক নম্বর খাস খতিয়ানের ওই জায়গাটি সরকারি খাল হিসেবে চিহ্নিত। এর আগেও ২০১৮ সালে সুবাস সাহা ওই সরকারি খালের একই স্থানে আড়াই শতক জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেন। কিন্তু তৎকালীন বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলামের কঠোর ভূমিকার কারণে সেই প্রাচীর ভেঙে উচ্ছেদ করা হয়। ওই বছরের ৫ জুলাই তার অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি আড়াই শতক জমি দখলমুক্ত করে জেলা প্রশাসন। তখন ওই উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ সাইফুল হাসান। এরপর ২০২০ সালেও তিনি ওই খালের দক্ষিন পাশে পাকা শৌচাগার নির্মান করেন।
সাতৈর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহসিলদার শেখ মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, প্রাচীর নির্মানের বিষয়টি জানার পর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ইউএনও এবং এসি(ল্যান্ড) স্যার জানেন। তিনি আরও বলেন, সুভাষ সাহা অনেক বড় নেতা তাকে প্রাচীর ভেঙে ফেলার বিষয়টি কি আমি বলতে পারি?
এ ব্যাপারে সুভাষ সাহা বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আমার মার্কেটের পিছনে একটি মঠ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে যে ইট -বালু - সিমেন্ট বেচে গেছে সেটা দিয়ে প্রাচীরের কিছু নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।
সাতৈর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আ' লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ সাইদুর রহমান সজল বলেন, সুভাষ সাহার মতো একজন সম্মানী ব্যক্তি পুনরায় সরকারি খাল দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করা নিন্দনীয় এবং ঘৃনীত কাজ।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, প্রাচীর নির্মানের ব্যাপারে তাকে ফোন দেওয়া হয়েছিল। নির্মান কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: