মহামারী করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুরে চলছে কঠোর লকডাউন। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দূর দুরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা। ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে আরো কয়েকটি বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। হাসপাতাল গুলো হচ্ছে শিশু হাসপাতাল, ডায়াবেটিকস হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশনসহ আর ৭/৮ টি বেসরকারী হাসপাতাল। বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে কিন্তু সমস্যায় পড়ছে খাবার নিয়ে।
লকডাউনের কারনে রোগী ও রোগীর স্বজনরা কোন খাবার পাচ্ছে না। এলাকার সব হোটেল – রেস্তোরা বন্ধ থাকার। সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী হাসপাতাল সংলগ্ন কিছু খাবার হোটেল খোলা থাকার কথা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন ঐ সকল খাবারের দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার সকালে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে এক ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য গ্রাম থেকে আসেন। কিন্তু সকালের নাস্তার জন্য এদিক ওইদিকয় চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হাসপাতালের সামনে কলা বিক্রেতা সালামের নিকট পৌছায় এবং দোকানী সালামকে ২ টি কলা ও ২ টি পাউরুটি দেবার জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু সালাম কলা রুটি বিক্রী করতে অপারগতা প্রকাশ করে্ন। কেন বিক্রি করবে না জানতে চাইলে সালাম জানান বৃহস্পতিবারে কলা ও রুটি বিক্রী করার কারণে আমাকে প্রশাসন ধরে নিয়ে যায়, অনেক অনুরোধ করে ছাড়া পেয়েছি ।
ফরিদপুরে সেবা নিতে আসা একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছেছি অনেক কষ্টে কিন্তু কোথায় ও কোন খাবার পাচ্ছি না সকল খাবার হোটেল বন্ধ থাকার কারনে ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: