সংরক্ষিত এমপি মিরা ও ছাত্রলীগ নেতা ফোরকানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া | ২৪ জুন ২০২১, ০৮:৩৪

ছবিঃ সংগৃহীত

বরিশালের বানারীপাড়ায় সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা ও বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ২৩ জুন বুধবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সালেহ্ মঞ্জু মোল্লার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষণাকরা হয়।

সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও যুবলীগের সাবেক আহবায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন সদ্য অনুষ্ঠিত উপজেলার বাইশারী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি তাজেম আলী হাওলাদারের পক্ষে মদদদান ও দলীয় নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল চক্রবর্ত্তীকে হারাতে তার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, তাজেম আলীর সঙ্গে ছবি থাকা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদাকে দিয়ে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন ও অনুদান বিতরণকরাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন কর্মসুচি ও অনুষ্ঠানে তাদের দু’জনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা করা হয়। তার এ ঘোষণার সঙ্গে এসময় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতবৃৃন্দ একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা, সহ-সভাপতি ও চাখার ইউপির বিদায়ী চেয়ারম্যান খিজির সরদার, যুগ্ম-সম্পাদক ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ঘরামী, সদস্য ডা. খোরশেদ আলম সেলিম, পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাখারের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু, সহ-প্রচার সম্পাদক ও বিশারকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত, সৈয়দকাঠি ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মৃধা, বাইশারী ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শ্যামল চক্রবর্তী, সলিয়াবাকপুর ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সিদ্দিক মাষ্টার, উদয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান রাহাদ আহম্মেদ ননী, উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক এমএ ওহাব প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজেম আলী হাওলাদার আমার বাবা তারপরেও তার কিংবা দলীয় প্রার্থীর কারও পক্ষেই আমি নির্বাচনে অংশ নেই নি। এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী তাজেম আলী হাওলাদারকে মদদদানের অভিযোগ অস্বীকার করে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা বলেন, ফোরকান আলী হাওলাদারকে দিয়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন ও অনুদান বিতরণ করা হচ্ছে কারন সে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। দলের বাহিরের কাউকে দিয়ে তো আমি কাজ করাচ্ছিনা। তাজেম আলী হাওলাদারের সঙ্গে তার ছবি থাকা প্রসঙ্গে বলেন,ওই ছবি তিনি ( তাজেম) ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার পূর্বের। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার ছবি থাকাটা স্বাভাবিক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: