পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | ৮ মে ২০২৪, ০৪:৪০

ছবিঃ সংগৃহীত

পরকীয়া করার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুরা এলাকার মো. ইলিয়াছের মেয়ে মফিজা আক্তার মুন্নি (২৩)।

জানা যায়, কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী এক নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত থাকার কারণে স্বামী মো. জোবায়েরকে (২৩) এই ব্যভিচার থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করলে পরিণামে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ও স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয় মুন্নিকে। এভাবে মুন্নির সংসারে নেমে আসে অশান্তি।

এই ঘটনায় স্ত্রী মফিজা আক্তার মুন্নি (২৩) টেকনাফ, কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে "নালিশী দরখাস্ত" (মামলা) দায়ের করেছেন।
মামলা সম্পন্নকরণের কাজ চলমান রয়েছে।

স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী'র দায়ের করা উক্ত মামলায় ৬ জন স্বাক্ষী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে এই "নালিশী দরখাস্ত" তৈরি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৬ বছর পূর্বে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ এলাকার মো. জালাল আহমেদের পুত্র মো. জোবায়রের সাথে বিয়ে হয় একই উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার মো. ইলিয়াছের মেয়ে মফিজা আক্তার মুন্নির সাথে। ৮ বছরের দাম্পত্য সময়ে তাদের সংসারে ৭ বছরের এক শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে।

মুন্নী বলেন, আমার স্বামী জোবায়ের গত তিন বছর ধরে প্রতিবেশী মায়মুনা আক্তার (২২) নামক আরেকজন বিবাহিত মেয়ের সাথে পরকীয় সম্পর্কে চালিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটির বাড়িতে জোবায়েরকে কয়েকবার দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে মায়মুনা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে আমাকে মারধর করে। আমার স্বামীও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সম্পর্ক সম্পূর্ণ বিছিন্ন করতে চেষ্টা করে। এসব আর সহ্য করতে না পেরে আমার বাবার বাড়িতে সন্তান সহ অবস্থান করছি প্রায় ৭ মাস ধরে।

কান্না জড়িত কন্ঠে মুন্নি আরো বলেন, গত ৩ বছর ধরে আমার স্বামী সম্পূর্ণ পরকিয়ায় লিপ্ত আছে। মেয়েটির সাথে মোবাইলে ও সরাসরি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। যোগাযোগের অনেক প্রমাণ আমার কাছে আছে। মেয়েটির কারণে আমাদের সংসার আজ ভাঙতে চলেছে।

এই বিষয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে এর আগেও টেকনাফ থানায় অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছিলো। এতে কিছু দিন স্বাভাবিক ভাবে থাকলেও, পুনরায় মেয়েটার সাথে যোগাযোগ রাখা শুরু করে। এতে সংসারে ঘনঘন ঝগড়া হতে থাকে।

এই বিষয়ে মুন্নির স্বামী জোবায়রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এসব অভিযোগ সত্য নয়। আমি সিএনজি গাড়ি চালক হিসেবে মায়মুনা আক্তার বিভিন্ন সময় তার প্রয়োজনে আমার গাড়িতে চলাচল করতো। যাত্রী হিসেবে স্বাভাবিক পরিচয়।"

মায়মুনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমি বিবাহিত। স্বামী ও সন্তান নিয়ে সাংসার করছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে জোবায়েরের গাড়ি করে কোন জরুরি প্রয়োজনে আসা যাওয়ার জন্য স্বাভাবিক পরিচয়। জোয়ায়ের স্ত্রী সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এসব অভিযোগ তুলছে।"

মুন্নি বলেন, তারা কিউ অপরাধ স্বীকার করেনা। এবং স্বাধীন ভাবে পরকীয়া করে যাচ্ছে। তারা সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এই অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি চাই, এই ধরণের ঘটনা কোন মেয়ের জীবনে না ঘটুক। মেয়েদের উচিত বিয়ের করার আগে সঠিক মানুষ চিনে বিয়ে করা। না হয় স্বাভাবিক জীবনটা অস্বাভাবিক করে তোলবে এই ধরণের চরিত্রহীন মানুষেরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: