শেরপুর সদর উপজেলার ১৩ নং রৌহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সোহেলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম তুলে ধরে অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যগণ।
১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ওই অভিযোগটি করেন।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও পরিছন্ন সেবা দেওয়ার নিমিত্তে ২০২২-২০২৩ ইং অর্থ-বছরের সকল অর্থই চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে ৮ জন ইউপি সদস্য একত্রিত হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে পরিষদ থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং কোন কিছু দিবে না বলে হুমকি প্রদান করেন চেয়ারম্যান।
এছাড়া তারা আরও বলেন, পরিষদ কর্তৃক ২৭ মাসের সম্মানীভাতা তাদের দেওয়া হয়নি, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, জন্মমৃত্যু নিবন্ধন সনদ দিতেও অবৈধ অর্থ গ্রহণ করেন তিনি। ২০২২ জুন ও ২০২৩ জুন অটো-পরিবহন লাইসেন্স থেকে প্রায় (১০ লক্ষ টাকা) তিনি আত্মসাৎ করেন এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উত্তোলিত ট্যাক্সের হিসাব সে আমাদের দিতে রাজি নয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সোহেল জাল সহি ও সাক্ষরের মাধ্যমে বিল উত্তোলন করেন, (এলজিএসপির) প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পে রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপুটে তার ব্যাক্তিগত রাস্তা তৈরি করেন। কিছু প্রকল্পের যেখানে সিসি ঢালাইয়ের কথা থাকলেও সেখানে তিনি ক্ষমতার অপব্যাবহার করে আরসিসি ঢালাই করেন।।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সোহেল তার বক্তব্যে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সব মিথ্যা, আমার পরিষদে যা আসে বরাদ্ধের ৫০% সকল মেম্বারদের দিয়ে বিতরণ ও কাজ করি। অটো-পরিবহন লাইসেন্স এর টাকা দিয়ে আমি তাদের ৪ মাসের বেতন দিয়েছি।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন, অভিযোগটি হাতে পেয়েছি,
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্যগণ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিগ্রস্থ ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সোহেলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: