সাভারের আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় বিভিন্ন স্পট থেকে ট্রাক থামিয়ে ডাকাতির সময় সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মূলহোতা হৃদয় ওরফে চাক্কু হৃদয়সহ ০৬ সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার ভোর রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার নবীনগর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে ডাকাতি কার্যক্রম করে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ উক্ত চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ছায়াতদন্ত শুরু করে।
আটককৃতরা হলো- পাবনা জেলার বাসিন্দা ও ডাকাত দলের মূলহোতক হৃদয় ওরফে চাক্কু হৃদয় (১৯), রাজবাড়ী জেলার বাসিন্দা সোহেল ওরফে গিয়ার সোহেল (৩২), পটুয়াখালি জেলার বাসিন্দা সজিব হোসেন ওরফে কাটা সজিব (১৯), নড়াইল জেলার বাসিন্দা মোস্তাকিন শেখ (২১), চাঁদপুর জেলার মোঃ সানি (২০) ও মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা মোঃ সাইম (১৯)। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এর প্রেক্ষিতে বুধবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর এলাকায় ট্রাক থামিয়ে ডাকাতি করার সময় ওই ডাকাত দলের মূলহোতা হৃদয় ওরফে চাক্কু হৃদয়সহ ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে ২টি সুইচ গিয়ার চাকুসহ মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায় যে, তারা ৭-৮ জনের একটি ডাকাত দল প্রায়শই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ছুরি ও চাকু সহ অবস্থান করে। তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য থাকে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা লরি।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায় যে, গভীর রাতে যে সকল যানবাহনের ড্রাইভাররা রাস্তার ধারে গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম করে, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই গাড়িতে থাকা ড্রাইভার হেল্পারকে জিম্মি করে গাড়ির মালামাল ডাকাতি করে আসছিল। এছাড়াও ড্রাইভার হেলপারকে জিম্মি করে তাদের পরিবার থেকে মোটা অংকের টাকাও দাবি করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া ও সাভার মডেল থানায় একাধিক ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি এবং মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: