৭ই মার্চের বজ্রকণ্ঠে ভাষণের মাধ্যমে জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করা হয়

মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | ৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪০

প্রতিযাগীতায় চিত্রাংকন বিষয় মত্তিকা মহÍ ও কবিতা আবতি বিষয় তাফাননুম মনায়ার অধীরা প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্‌যাপিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে তাঁর বজ্রকণ্ঠে এক কালোত্তীর্ণ ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।

পরে উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান, ঘোড়াঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এস.এম মনিরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ চন্দ্র, শিক্ষক মনোরঞ্জন মহন্ত প্রমুখ।

বক্তারা এসময় বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। তিনি এই ভাষণে বিভিন্ন গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইন্টারন্যাশনাল এমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উপস্থিত সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যসহ সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণ, চিত্রাংকন ও কবিতা আবৃতি প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া ১৫ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্য পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: