আশুলিয়ায় ময়লার গাড়ি আটকিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে   পিটিয়ে জখম 

সাভার প্রতিনিধি | ৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২২

আশুলিয়ায় ময়লার গাড়ি আটকিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে   পিটিয়ে জখম 
সাভারের আশুলিয়ায় ময়লার গাড়ি আটকিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতার ছোট ভাই সহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 
 
সোমবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে আমবাগান নামক এলাকায় এঘটনা ঘটে। পরে এ দিন দুপুরে পরিচ্ছন্ন কর্মী বাবর আলী বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
 
অভিযুক্তরা হলেন: ঢাকা জেলা আশুলিয়া থানা সেনওয়ালিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে জাহিদুল হক সময় (২৮), আমবাগান একালার ওবায়দুরের ছেলে তাসকিন(৩২), পিতা অজ্ঞাত মুন্না(২৭), কুটুরিয়া এলাকার টুটুল(৩৮) সহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জন। 
 
আহতরা হলেন, হেলাল উদ্দিন (২৪), হৃদয় (১৮), রেনু বেগম (৩৮) ও কামাল হোসেন।
 
বাবর আলী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এলকার আমবাগান,পানধোয়া,ইসলামনগর,গকুলনগর ও সেনওয়ালিয়া গ্রামের বাসা বাড়ীর উচ্ছিষ্ট ময়লা পরিষ্কারের কাজ করে আসছি। অভিযুক্তরা অনেক সময় আমাদের আটকিয়ে মারধর করা সহ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সোমবার সকালে একই ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ময়লার গাড়ি আটকিয়ে দেয় তারা।এসময় গাড়ির সাথে থাকা আমার দুই ছেলে ও এক কর্মচারীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। জাহিদুল ইসলাম সময় আমার বড় ছেলের মাথায় চাপাটি দিয়ে কোপ মারে। তাদের চিৎকারে আমার স্ত্রী ছুটে এলে তাকেও কিল ঘুষি মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
 
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানিয়েছেন,জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসানী হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী নাহিদুল হক জয় এর ছোট ভাই জাহিদুল হক সময়। মূলত ছাত্রলীগ নেতা নাহিদুল হক জয়ের নেতৃত্বেই এরা জাহাঙ্গীর নগরের আশপাশ এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি সহ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। এর আগেও অভিযুক্তরা মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন।তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও আছে থানায়।
 
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী বলেন, খবর পেয়ে তাত্ক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা সত্য। এঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা পক্রিয়াধীন। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: