পরিপাটি দ্বিতল পাকা ভবন। শিক্ষার্থী শূণ্য কক্ষ। শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদাউস কক্ষে বসে মোবাইল নিয়ে ব্যস্থ আছেন। অপর এক সহকারি শিক্ষক বিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছে। প্রধান শিক্ষক তাঁর চেয়ারে বসে রয়েছে। গুটি কয়েক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ছুটাছুটি করছে। বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের মধ্য প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন উপস্থিত রয়েছেন।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ৮৭ নং মধ্য চরশুভি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের কোন ক্লাস নেওয়া হয়নি। এব্যাপারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষক রয়েছে। এদের মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছে সহকারি শিক্ষিকা নাজনিন আক্তার। বাকী সহকারি শিক্ষক সালাউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম পারিবারিক কাজে ঢাকায় আছেন।
শিক্ষকরা আপনার কাছে ছুটির জন্য লিখিত আবেদন করেছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, তারা ছুটির লিখিত কোন আবেদন করেনি। তবে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাই শিক্ষক স্বল্পতা থাকায় ক্লাস নেওয়া সম্ভাব হয়নি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: