নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও কৃষকের বালু বিক্রির টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতারণা ও আত্মসাত করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার আমলে টিআর, কাবিখা, জিআর, ভিজিডি, ভিজিএফ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি, ওয়ারিশন কায়েম সনদ, বয়স্কভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড তৈরীতে নেন নগদ অর্থ। জন্ম নিবন্ধন সনদ ৫ বছরের উর্দ্ধে হলে সরকারি ফি ৫০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি নিচ্ছেন পাঁচশ থেকে আটশ টাকা পর্যন্ত। ওয়ারিশন সনদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অপরদিকে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকা প্রণয়নে ঘুস গ্রহণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান এসব তালিকায় নাম উঠানোর কথা বলে অসহায় দুস্থদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ইউনিয়ন পরিষদে অর্থ ছাড়া মিলে না সেবা।
এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সম্প্রীতি, তার বিরুদ্ধে মরজাল ইউনিয়নের ধুকুন্দি চরে কৃষকের রাখা বালু সে ও তার সহযোগীরা মিলে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় ফেয়ার ইলেকট্রনিকস কোম্পানির কাছে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেন। পরে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগও করেন।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: