বিয়ের মিথ্যা আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক, পুলিশ কনস্টেবল শ্রীঘরে

আশিকুর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি  | ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১১:৩৮

বিয়ের মিথ্যা আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক, পুলিশ কনস্টেবল শ্রীঘরে
নরসিংদীর রায়পুরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে রায়পুরা থানা পুলিশ। 
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ এলাকায়।
তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। 
 
গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কনস্টেবলের নাম ইমন মিয়া (২৮) রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের মাহে আলমের ছেলে। এ ঘটনায়
 
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ভুক্তভোগী তরুনী বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৮ মাস আগে ওই তরুণীর সঙ্গে কনস্টেবল ইমনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সর্ম্পক। পরে ওই তরুণীকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিক বার শারীরিক সর্ম্পক করেন তিনি। সম্প্রতি দুজনের মধ্যে সর্ম্পকের অবনতি দেখা দেয়। গতকাল রোববার দুুপুরে দেখা করতে প্রেমিকার বাড়িতে আসেন ইমন। পরে পুনরায় শারীরিক মেলামেশা করতে চাইলে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন ওই তরুণী। এ সময় বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডতা হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা মিলে ইমনকে আটক করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাই।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এর আগে এক প্রবাসির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এদিকে  কনস্টেবল ইমনও বিবাহিত। তিনি দুই সন্তানের জনক। ১৮ মাস আগে ইমনের সঙ্গে ওই তরুণীর ফেসবুকে মেসেঞ্জারে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সর্ম্পক। তাদের সর্ম্পক প্রেম থেকে শারীরিক সর্ম্পক পর্যন্ত গড়ায়। ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে একাধিক বার শারীরিক মেলামেশা করেছে ইমন। এখন সে আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। এ ঘটনায় আমি ইমনে বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।
 
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছে। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: