দুটো কিডনিই নষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের ইমামবাড়ীর মো. কাউছার মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়ার। তাকে সুস্থ্য করতে শিগগিরই অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা জরুরি। তবে এ জন্য দরকার প্রচুর অর্থের। যা জোগাড় করা দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে অসম্ভব।
কোন হৃদয়বান ব্যক্তি যদি তাকে একটি কিডনী দান করেন, তাহলে হয়তো উজ্জ্বলের জীবনে আবারো আলো দেখতে পাবে। উজ্জ্বলের ডায়ালাইসিসে বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আর এই ডায়ালাইসিসের কারনে প্রায় ৪ মাস ধরে বেঁচে আছেন উজ্জ্বল মিয়া।
এদিকে অসুস্থ হওয়ার পর তাকে সিলেট ও ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানান, তার দুটি কিডনিই নষ্ট। শিগগিরই অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। না হলে বাঁচানো যাবে না তাকে। এ অবস্থায় দরিদ্র বাবা মায়ের পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
দেখতে দেখতে কেটে গেছে তার জীবনের ২৫টি বছর। ঘুর্ণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে, মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে। তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি এখন জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। নিজের পরিবারের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। তারপরও তার পরিবারের চেষ্টার কমতি নেই। তারপরও নিরুপায় হয়ে উজ্জ্বল মিয়াকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কিডনী রোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা জানান, দুই কিডনী থেকে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা গেলে রোগীকে বাঁচানো যাবে। স্বজনদের কেউ যদি কিডনী দান করেন তবে দুই কিডনী অপসারণ ও প্রতিস্থাপনে যাবতীয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লাগতে পারে বলে জানান চিকিৎকরা।
উজ্জ্বলের মা, বাবাসহ রয়েছে স্ত্রী ও ২টি অবুঝ কন্যা সন্তান। সকলের সহযোগিতা পেয়ে আবার ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চান উজ্জ্বল। হৃদয়বানরা যদি উজ্জ্বলের পাশে দাঁড়ান তাহলে অবশ্যই তিনি হয়তো বেঁচে যাবেন। তাকে সাহায্যে পাঠাতে চান তাহলে ইসলামি ব্যাংক আশুগঞ্জ শাখা- কাউছার আলম হিসাব নম্বর-২০৫০১৭৬০২০১৭১৩৫০০ । অথবা ০১৯২৭-৯৮০৬৭৮ নাম্বারে নগদ ও বিকাশে সহায়তা পাঠাতে পারেন: যোগাযোগ ও অভিভাবক ০১৯২৭-৯৮০৬৭৮।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: